A story of a brave voice :An Extraordinary Experience During Eid Holidays.

[Manira khanam]

ঈদের ছুটি কাটাতে পরিবারের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে ৬/৬/২৫ শশুর বাড়িতে পাড়ি জমাই।আমি বাড়িতে গেলে প্রতিবেশীরা আমাকে দেখতে আসে এবং তাদের অনেক জমানো কথা আমার সাথে শেয়ার করে। তবে এবার আমি সম্মুখীন হই ব্যতিক্রম এক অভিজ্ঞতার। প্রতিবেশীর নবম শ্রেণীতে পড়া এক শিক্ষার্থী আমার কাছে আসে। এবং আমার সাথে কিছু একটা শেয়ার করতে চায়।আমি তার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনি এবং সুযোগটাকে হাতছাড়া না করে তার সাথে আমি একটি ইন্ডিভিজুয়াল সল্ট করি। বিষয়টি ছিল বাল্যবিবাহ সম্পর্কিত। মেয়েটির চেহারা সুন্দর হওয়ায় ছেলেপক্ষ তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় পরিবারে এবং মেয়ের বাবা মাকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধার কথা বলেন। উল্লেখ্য যে :মেয়েকে তারা গয়না দিবে, খাবার খাওয়ানোর কোন খরচ বহন করতে হবে না, মেয়ে খুব ভালো থাকবে সুখে থাকবে ইত্যাদি ইত্যাদি। এ কথাগুলো শুনে মেয়ের বাবা-মা উঠে পড়ে লাগে তাকে বিয়ে দেয়ার জন্য। তবে মেয়েটা চায় লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হতে।বাবা মায়ের খরচ মেয়েটা চায় না নিজে কষ্ট করে লেখাপড়া শিখবে এমন কি সম্ভব হলে দর্জি কাজ করে নিজের পড়ার খরচ নিজে বহন করবে। মেয়েটির মধ্যে আমি পড়ালেখার অনেক আগ্রহ দেখে আমার সংগ্রামের দিনগুলির কথাকে খুব বেশি মনে করতে থাকি। এবং আমি সিদ্ধান্ত নেই তার বাবা-মায়ের সাথেও সল্ট করতে। মেয়েটির কাছ থেকে যেহেতু বিষয়টি আমার জানা ছিল তাই সেই বিষয়ের আঙ্গিকে আমি তাদের সাথে সল্ট কনভারসেশন করি। বাবা-মা আর তাদের এই সিদ্ধান্তের পেছনে বিভিন্ন ধরনের সুবিধাকে উল্লেখ করতে থাকে। তখন আমি আমার গল্পটা তাদেরকে শোনাই। এবং নিজে স্বাবলম্বী হতে পারলে যে এর থেকে ও বেশি সুবিধা পাওয়া যায় সে বিষয়েও বলি এবং আমার নিজের উদাহরন দেই। যেমনঃ আমই এখন চাকরী করে নিজেই ইনকাম করি। নিজের সংসারে আর্থিক অবদান রাখি। মেয়েটি আমাকে অনুরোধ করে যে চাচী তুমি বাবা মাকে বলো আমি কখনো কারও সাথে চলে যাবো না,পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে তাদের এই সিদ্ধান্ত যে আমাকে অনেক কষ্ট দিচ্ছে কেন এটা বোঝেনা,আমাকে অন্তত এসএসসি পরীক্ষাটায় অংশগ্রহণ করার সুযোগটা দিতে বলো। এই কথাটি আমি তার বাবা-মায়ের সাথেও শেয়ার করি। বাল্যবিবাহের নানাবিধ অসুবিধার কথা আমি তাদের সামনে তুলে ধরি। একটিমাত্র কন্যা সন্তান হওয়ায় কেন তারা এমন সিদ্ধান্ত নিবে এ বিষয়ে তাদেরকে অনেক প্রশ্ন করি। কনভারসেশন এর একপর্যায়ে তারাও তাদের ভুল বুঝতে পারে এবং আমাকে বলে মনিরা আসলে আমরা বিষয়টি বুঝিনি তোমাকে বোঝানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ আর তুমি আমাদের অন্তর চক্ষু খুলে দিলে। আমরা মেয়েকে বাল্যবিবাহ দেব না। অভাবের সংসার যদিও তবে চেষ্টা করবো ওর পড়ালেখায় যেন কোন ক্ষতি না হয়।

জটিল
সমস্যাটার এত সহজ সমাধান হওয়ায় আমি নিজে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হয়ে পড়ি এবং তাকে আমি আমার পক্ষ থেকে পড়ালেখার ব্যাপারে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেই।এতে করে মেয়ে এবং তার বাবা মা সকলেই অনেক আনন্দিত হয়। GYRF এর সাথে SALT নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমার বাস্তব জ্ঞান এবং যেকোনো চ্যালেঞ্জ সমাধানের শিক্ষার জন্য আমি নিজেকে নিয়ে গর্বিত। শিখছি, শিখব এবং শেখাবো, যেটা ছড়িয়ে দিব সর্বত্র। এরই মাঝে জীবন এরই মাঝে আনন্দ।

To celebrate the Eid holidays and share joy with my family, I traveled to my in-laws' house on 6/6/25. Whenever I visit home, neighbors come to see me and share many of their long-held thoughts with me. But this time, I encountered a different kind of experience.

A student from the neighborhood, currently studying in grade nine, came to me and wanted to share something. I listened to her attentively and, without missing the opportunity, I had an individual SALT session with her. The topic was child marriage.

Because the girl is beautiful, a suitor's family proposed marriage and promised her parents various benefits. They mentioned they would give her jewelry, that her family wouldn't have to bear any food expenses, and that she would live happily and comfortably. Hearing this, her parents became eager to get her married.

However, the girl wants to study and become a respectable person. She doesn’t want to burden her parents with her expenses — she’s willing to work as a tailor to fund her own education. I saw great enthusiasm for education in her and was reminded deeply of my own struggle-filled days. I decided to conduct a SALT session with her parents as well.

Since I already knew the issue from the girl, I tailored the conversation around that. Her parents kept mentioning all the benefits of the marriage proposal. I shared my own story with them — how being self-reliant can bring even more benefits. I told them how I now have a job, earn my own income, and contribute financially to my family.

The girl requested me, “Aunty, please tell my parents that I will never run away with anyone. Don’t they understand how much their decision is hurting me? Please ask them to at least let me sit for my SSC exams.” I shared her words with her parents and highlighted the various harms of child marriage. I questioned why they would make such a decision when she’s their only daughter.

Eventually, during the conversation, they realized their mistake and said to me, “Monira, we truly didn’t understand the issue — thank you so much for helping us see clearly. You’ve opened our eyes. We will not marry our daughter off early. Though we live in poverty, we will try our best not to hinder her education.”

Complex problem — simple solution.
I felt deeply inspired by how easily the issue was resolved, and I promised to support her education from my side. This made both the girl and her parents very happy.

I feel proud of the real-life knowledge and problem-solving skills I’ve gained through working on SALT with GYRF. I am learning, I will continue to learn, and I will keep teaching — spreading this knowledge everywhere.
This is life. This is joy.

[Prokash Biswas]

• very nice blog

[Sadia Jafrin]

আপনি একজন অনন্যা। আপনি আপনার চারপাশে আরো আলো ছড়াবেন এই আশা করি মনিরা আপা। 

You are an exceptional woman. I hope you continue to spread more light around you, Monira Apa.