When Communities Learn and Lead :Reflections from Byaspur's Knowledge Fair.

[Manira khanam]

ব্যাসপুর কমিউনিটিতে হয়ে যাওয়া জ্ঞানের মেলা নবান্ন পর্বের পরবর্তী রিফ্লেকশন ফলোআপে প্রতিটি অংশগ্রহণকারী দলের কাছে গিয়ে তাদের জ্ঞানের মেলার শিক্ষা সম্পর্কে জানতে চাই।এতে করে বিভিন্ন জন তাদের জ্ঞানের মেলা থেকে অর্জিত জ্ঞান সম্পর্কে শেয়ার করে।পাশাপাশি তারা কি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে তা ও শেয়ার করে।

হিজলিপাড়াঃ
হিজলিপাড়ার দাদা,দাদী,মা ও বাবারা আগামীতে নিজেদের পাড়াতে জ্ঞানের মেলার আয়োজন করার শিক্ষা নিয়েছেন।বিশেষ করে দাদি সুফিয়া কাকি নিজে হিজলিপাড়ার সকলকে একত্রিত হয়ে তাদের পাড়াতে জ্ঞানের মেলার আয়োজন করবে। উত্তরপাড়ার আবিদ ভাই,শহিদুল ভাই ও হাফিজুর ভাইয়ের অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও উৎসাহ তাদেরকে বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।পরবর্তী জ্ঞানের মেলার আয়োজক তারাই হবে সেটার তীব্র ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। আসমা আপা, আছিয়া আপা, স্বম্পা আপা,নিপা আপা, যুথি, ও মিনা আপা, ভাইদের মধ্যে উজ্জ্বল, ইমরান, টুটুল, জাফর কাকা সুফিয়া কাকির সাথে সহমত পোষণ করেছে। আগামীতে জ্ঞানের মেলা তাদের পাড়াতেই অনুষ্ঠিত হবে।

দক্ষিণপাড়াঃ
দক্ষিণপাড়ার অভিযাত্রী দলের সদস্যদের মধ্যে খেলার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।তা ছাড়াও তারা তাদের দলের স্ব মুল্যায়ন করে দ্রুত স্নপ্ন থেকে কতটা দূরে আছে তা সবাই মিলে জানবে।সবজি নিয়ে কাজ করা আপারা আরও বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছে আগামীতে তারা তাদের আরও পরিবর্তনের গল্প শোনাবে।সবজি বাগানের গল্প গ্রামে ছড়িয়ে দিবে।জ্ঞানের মেলায় সবার পরিবর্তনের গল্প তাদের বেশ উৎসাহী করেছে। সবজির পাশাপাশি আরও কি করা যায় সেটা তাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।
অভিযাত্রী দলের তানজিলা বলেছে তারা যে আগে খেলার সুযোগ পেতো না কিন্তু এখন তার দল মাঠে গিয়ে খেলছে সেই গল্প বলতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে তার। সামনে জ্ঞানের মেলা আসা পর্যন্ত তারা দক্ষিনয়াড়ার অন্য মেয়েদেরকেও বাইরে খেলার সুযোগ সৃষ্টি করতে চায়।
মেয়ে এথলেট বা ফুটবলাররাও কিভাবে তাদের চ্যালেন্জ্ঞ গুলো কাটিয়ে উঠবে তা নিয়ে মায়েদের সাথে আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছে।

হাফিজুর ভাই: ব্যাসপুর উত্তরপাড়া:
ভাই জ্ঞানের মেলা থেকে শিখেছেন একটা কথা একজনের থেকে অন্য জনের কাছে গেলে তা পরিবর্তন হয়ে যায়।মানুষ বিবর্তীত কথাকে ইস্যু করে সমাজের শান্তি বিনষ্ট করে।যার বাস্তবিকতা ভাই জ্ঞানের মেলা থেকেই অনুধাবন করেছেন।এছাড়াও কমিউনিটিতে জ্ঞানের মেলা পাশ্ববর্তী অন্যমানুষকে অনুপ্রানীত করে। জ্ঞানের মেলা থেকে অনেকে তাদের কাজ সম্পর্কে জানার জন্য এসেছে।কমিউনিটি থেকে কমিউনিটির মানুষ জানা এটা তাদেরকে খুব সহজেই উৎসাহিত করে।

শাহানারা আপা: ব্যাসপুর উত্তরপাড়া:
শাহানারা আপা শিখেছেন দশের লাঠি একের বোঝা প্রবাদ বাক্যের বাস্তবিকতা। তার দলের সকলে মিলে ২০০ মানুষের জন্য পিঠাপুলি তৈরির বিষয়টি অনেক আনন্দ দিয়েছে। এবং দলের সকলের আন্তরিকতা তার শেখাকে আরও বেশি অনুপ্রানিত করেছে। শাহানারা আপারা জ্ঞানের মেলাতে এতো আনন্দ পেয়েছেন যে মেলার পরদিন আবার পাড়ার সবাই মিলে পিকনিক করেছেন। সবাই মিলেমিশে থাকা যে অনেক বেশি আনন্দের এটা তারা খুব ভালোভাবে বুঝেছেন বলে জানান।

উত্তরপাড়াঃ
উত্তরপাড়াতে ছোয়ার দাদু গল্পের আসর শুরু করার চিন্তা শুরু করে দিয়েছে। হিজলিপাড়ার দাদা দাদীদের গল্পের আসর তাকে অনুপ্রাণিত করেছে।ছোয়ার টিম ও শাহানারা আপার টিমের সমন্বয়ে শাহানারা কাকি প্রতিমাসে ১ দিন ১ম শনিবার গল্পের আসর করার জন্য ২ টিমের সদস্যদের সাথে আলোচনা করেছেন ইতিমধ্যেই।

SALT-CLCP এর শেষ ধাপ শিখি এবং শেখাই অর্থাৎ জ্ঞানের মেলা, কমিউনিটির মানুষকে অনেক বেশি motivated করে। যা আমি জ্ঞানের মেলা পরবর্তী সাক্ষাৎকারে অনুধাবন করতে পেরেছি।

During the post-reflection follow-up after the Knowledge Fair – Nobanno Porbo held in the Byaspur community, I visited each participating team to learn about the lessons they gained from the Knowledge Fair. Through this process, different community members shared the knowledge they acquired from the fair, as well as the experiences they went through.
Hijlipara
The grandfathers, grandmothers, mothers, and fathers of Hijlipara learned how they can organize a Knowledge Fair in their own neighborhood in the future. In particular, grandmother Sufia Kaki expressed her strong commitment to bringing everyone in Hijlipara together to organize a Knowledge Fair there.
The tireless efforts and encouragement of Abid Bhai, Shahidul Bhai, and Hafizur Bhai from Uttar Para inspired them greatly. They clearly expressed a strong desire to be the organizers of the next Knowledge Fair. Asma Apa, Asia Apa, Swampa Apa, Nipa Apa, Juthi, and Mina Apa, along with Ujjal, Imran, Tutul, and Jafar Kaka, all agreed with Sufia Kaki. It was collectively decided that the next Knowledge Fair would be held in Hijlipara.
Dokkhi Para
Among the members of the Dokkhin Para Adventurer Team, interest in sports has increased. In addition, they plan to conduct a collective self-assessment to understand how far they are from achieving their dreams.
The women working on vegetable initiatives felt even more inspired and shared that they will tell more stories of change in the future and spread the stories of their vegetable gardens throughout the village. The change stories shared by others at the Knowledge Fair motivated them greatly. Along with vegetables, they are now thinking about what more they can do.

Tanjila from the South Para Adventurer Team shared that they did not have opportunities to play sports before, but now her team regularly goes to the field to play. She felt very happy sharing this story at the Knowledge Fair. Until the next Knowledge Fair, they want to create opportunities for other girls in South Para to play outdoors as well. Girl athletes and football players also had the opportunity to discuss with their mothers how to overcome their challenges.
Hafizur Bhai | Byaspur Uttar Para
From the Knowledge Fair, Hafizur Bhai learned an important lesson—that when information passes from one person to another, it often changes. People turn distorted information into issues, which can disrupt social harmony. He realized this reality directly through the Knowledge Fair.
He also observed that the Knowledge Fair inspires people from neighboring communities. Many people came to learn about different initiatives after the fair. Learning from one community to another motivates people very easily.
Shahanara Apa | Byaspur Uttar Para
Shahanara Apa learned the true meaning of the proverb “Many hands make light work.” Preparing pitha for 200 people together with her team brought her great joy, and the sincerity of all team members further strengthened her learning.
She shared that they enjoyed the Knowledge Fair so much that the very next day everyone from the neighborhood went on a picnic together. They realized deeply that living and celebrating together brings immense happiness.
Uttara Para
In Uttar Para, Choya’s grandmother has started thinking about initiating a storytelling circle. She was inspired by the storytelling sessions of the grandparents from Hijlipara.
With coordination between Choya’s team and Shahanara Apa’s team, Shahanara Kaki has already discussed with members of both teams the plan to organize a storytelling session on the first Saturday of every month.
The final step of the SALT CLCP—“Learn and transfer,” represented through the Knowledge Fair—greatly motivates community members. I clearly realized this through the post–Knowledge Fair interviews.

[Rituu B. Nanda]

Thanks!

What will you do differently next time Manira?