Connecting local responses around the world
Website: the-constellation.org
Newsletter English, French Spanish
Facebook https://www.facebook.com/pages/The-Constellation/457271687691239
Twitter @TheConstellati1
Instagram: https://www.instagram.com/constellationclcp/
18/1/25; Mymensingh Visit; Bangladesh
প্রতিষ্ঠানের নাম: Grow Your Reader Foundation (GYRF)
অনেকদিন আগে থেকেই আমি খুব ইন্টারেস্টেড ছিলাম ময়মনসিংহ যাওয়ার জন্য। কেননা প্রায়ই সাদিয়া আপু এবং আদিলা আপু ময়মনসিংহ কমিউনিটির গল্প আমার আর মনিরার সাথে শেয়ার করেন। ভাগ্যক্রমে গত ১৮ তারিখে আমাদের সেই সুযোগটা হয়। কারন ঋতু এবং নাওয়াজ ভাই ও ময়মনসিংহ যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। ময়মনসিংহের পাহারিয়াপাড়ার সবুজ মেঠো পথ সেখানকার মানুষের আত্মীয়তা ও ইউনিটি দেখে আমাকে খুব একান্তে হাতছানি দেয়। মেঠো পথ পেরোতে না পেরেতে একটি সাঁকো দেখতে পাই। সেখানে সেলিম ভাই এবং সুমন ভাই আমাদেরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। মূল গন্তব্যে আমাদের গাড়িটা যাওয়ার জন্য সক্ষম ছিল না। কিন্তু সেলিম ভাই এবং সুমন ভাই আগে থেকেই অটো রেডি করে রেখেছিল আমাদেরকে নেয়ার জন্য। সুমন ভাই এবং সেলিম ভাই কে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না। তাদের আতিথিয়তায় যে কোনো ঘাটতি ছিল না সেটা আমরা বুঝতে পারি তাদের কমিউনিটিতে প্রবেশ করেই। আমরা দেখতে পাই প্রতিটি বাড়িতে মাটির ঘর। এটা তাদের এলাকার একটা ঐতিহ্য। এক পর্যায়ে আমরা তাদের বিদ্যালয়ের মাঠে তাদের সবাইকে নিয়ে আসন গ্রহণ করি। সেখানে ছিলেন শিশু তরুণ তরুণী মধ্য বয়সি ও প্রবীণরা। তার মধ্যে একজন মহান মানবতা বোধ ও সাদা মনের মানুষ যার কথা না বললেই নয় তিনি আমাদের গফুর চাচা। তাদের ওখানে বিদ্যালয় নেই বললেই চলে। আর বর্তমান সময়ে তাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া থেকে অনেকটা পিছে পড়ে যাচ্ছেন। আর এই উপলব্ধি থেকেই সেলিম ভাই, সুমন ভাই, রফিক ভাই ও গফুর চাচা উদ্যোগ নিয়ে তাদের কমিউনিটির মানুষের সাথে নিজেরাই কিভাবে সমাধান করা যায় সেই বিষয়ে উদ্যোগ নেন। কিন্তু এখানে একটি ঘটনা না বললেই নয়। কেনো তারা নিজেরাই এই স্কুল করার উদ্যোগ নিলেন।
প্রায় ৯ মাস আগে সেলিম ভাই আমাদের GYRF সাথে পরিচিত হন। সেখানে সাদিয়া আপু তাদের সাথে মতবিনিময় করে এবং তাদের সাথে যোগাযোগ রাখেন। তাদের কমিউনিটিতে তাদের নিজ উদ্যোগে কি ধরনের বিদ্যালয় নির্মাণ করা যায় সেই বিষয়ে সাদিয়া আপু তাদের সাথে সল্ট কনভার্সেশন করেন এবং তাদের অনুপ্রাণিত করেন। একপর্যায়ে গফুর চাচার মতন একজন বৃদ্ধ মহৎ মানুষ উদ্যোগ নেন তাদের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য রক্ষার্থে তারা বিদ্যালয়টি মাটির ভবনে রূপ দিতে চান। তার একনিষ্ঠ প্রচেষ্টায় ও গ্রামের সবাই এগিয়ে আসে। যার কথা না বললেই নয় সুমন ভাই তার নিজের জায়গা বিদ্যালয়ের জন্য দান করেন। কমিউনিটিভ সবাই লেখাপড়ার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারে কেননা তাদের গ্রামে পাঁচজন গ্রাজুয়েট খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তাই তারা অনুধাবন করেন যে তাদের একটা স্কুল হওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু সেটা সরকার বা কোন এনজিও এসে করে দেবে না। তাই তারা সল্টের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হন এবং নিজেরাই নিজেদের বিদ্যালয় নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এবং তারা তাদের সন্তানকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত করতে চান এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চান। আর এর ফলশ্রুতিতে দক্ষ নৈপুণ্য হাতে গফুর চাচা সৃষ্টি করেছেন মাটির তৈরি বিদ্যালয়। তাঁর থেকে শিখেছেন তরুণেরা কিভাবে মাটির ঘর বানাতে হয়। আর মাটির তৈরি বিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য এটি গরমের সময়ও ঠান্ডা থাকে। যেখানে ছেলেমেয়েরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। কখনো তারা ভাববেন না যে আমাদের বিদ্যালয় অনেক দূরে আমরা হেঁটে যেতে পারবো না। বৃষ্টির দিনে আমরা সেখানে পড়ে যাব না। মনের আনন্দেই তারা এখানে পড়ালেখা করতে পারবে। কেননা তাদের কমিউনিটির প্রত্যেকটি লোকের ঘামে নির্মিত এই বিদ্যালয়। তারা মাটি, বাঁশ, কাঠ দান করেছে স্কুলের জন্য। তাদের একতা দেখে আমরা খুবই মুগ্ধ হই। কিছু প্রশ্নের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি তাদের এই উদ্যোগ সম্পর্কে।
গল্প শেষে তারা আপ্যায়নের জন্য আমাদের কে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যান। তাদের সুমিষ্ট হাতের মুড়ি মাখা অসাধারণ ছিল। তারা এক পর্যায়ে আমাদেরকে বাড়িতেও নিয়ে গেলেন সেখানে তাদের ও সুমন ভাইয়ের মায়ের আতিথিয়তায় আমরা সবাই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এক পর্যায়ে আমরা তাদের থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম। বিদায় বেলাতে তারা আমাদেরকে রাস্তার একপর্যায়ে পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গেল। তাদের থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। কিভাবে তারা তাদের নিজেদের সমস্যার সমাধান করছে এবং হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। তাদেরকে মনে হয় অনেক কাছের মানুষ এবং তাদের কাছে বারবার ফিরে যেতেই মন চায়।
18/1/25; Mymensingh Visit; Bangladesh
Institution Name: Grow Your Reader Foundation (GYRF)
I have been interested in visiting Mymensingh for a long time. This is because Sadia Apa and Adila Apa often share stories from the Mymensingh community with me and Manira. Fortunately, we got the opportunity to visit on the 18th of this month. Rituu and Nawaz Bhai also expressed their desire to visit Mymensingh. The greenery narrow paths of Pahariapara in Mymensingh, along with the sense of unity and kinship among the people there, strongly attracted me. As we walked along the paths, I saw a man made bamboo bridge. There, Salim Bhai and Suman Bhai warmly welcomed us. Our vehicle couldn’t reach the main destination, but Salim Bhai and Suman Bhai had already arranged an auto rickshaw to take us. I don't want to downplay their hospitality, as we realized there was no shortage of it as soon as we entered their community. We saw that every house had mud house, which is a tradition in their area. Eventually, we gathered in their schoolyard with the community members, including children, young people, middle-aged individuals, and elders. Among them was a person with a great sense of humanity and kindness, whom I must mention — Gafur Chacha.
In their area, there is no school, and at present, the children there are falling behind in their education. It was from this realization that Salim Bhai, Suman Bhai, Rafique Bhai, and Gafur Chacha took the initiative to find a solution together with the people of their community. However, there’s one story I must share — why did they take the initiative to build a school themselves?
Around 9 months ago, Salim Bhai became acquainted with our GYRF. Sadia Apa had a conversation with them and has kept in touch ever since. Through SALT conversation Sadia Apa inspired them to establish a school in their community by themselves. Eventually, a great person like Gafur Chacha took the initiative to preserve their fading tradition and decided to build the school using mud structures. With his dedicated efforts, the whole village came together. A special mention must go to Suman Bhai, who donated his land for the school.
The people in the community came to realize the importance of education, as it is difficult to find even five graduates in their village. They understood the need for a school, but they also realized that the government or any NGO would not build it for them. So, they were inspired by SALT and took the initiative to build the school themselves. They wanted their children to have a bright future and receive quality education. As a result, with skillful craftsmanship, Gafur Chacha built the mud school. From him, the young people learned how to build mud houses. The special feature of the mud school is that it stays cool even in the summer. This will be a place where children will receive a quality education. The children will never think the school is too far to walk to or that they will get stuck in the rain. They can study there with peace of mind, as it is a school built with the sweat of every member of the community. They donated mud, bamboo, woods. We were deeply impressed by their unity.
Through a few questions, we learned more about their initiative. At the end of the visit, they became busy preparing for our hospitality. The sweets they served were extraordinary. At one point, they invited us to their homes, where we were deeply moved by the hospitality of their family, including Suman Bhai's mother. Eventually, we bid them farewell, and they walked with us for some distance on the road. I learned so much from them — how they are solving their own problems and preserving their lost traditions. They seem like very close people to me, and I always want to return to them.
Comment
Excellent writing Prokash vai.👌
Prokash, you have written an excellent blog! Thank you. What will you apply in Gopalgunj that you learned in Pahariya para?
Thank you for sharing Prokash bhai. Hope you will write more.
© 2025 Created by Rituu B. Nanda. Powered by
You need to be a member of Community life competence to add comments!
Join Community life competence