Connect with us

Website: the-constellation.org

Newsletter EnglishFrench Spanish  

Facebook https://www.facebook.com/pages/The-Constellation/457271687691239  

Twitter @TheConstellati1

Instagramhttps://www.instagram.com/constellationclcp/

Youtube channel: The Constellation SALT-CLCP

Learning from Hamid Uncle: self-employment that can be created by self-effort | Manira khanam | HH#65, Para# Madhyapada Village# Byaspur (Grow Your Reader Foundation)

  • আজ এটা আমার ২য় ব্লগ। এখানে লেখার পর কেনো যেনো আমি আরো লেখার জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছি। মনে হচ্ছে আমার গল্পগুলো এখন অনেক মানুষ পড়ে জানতে পারবে। আমাদের গ্রামে কত মানুষ এবং তাদের স্ট্রেন্থ কত ধরনের। সল্ট করার আগে আমার এটা নিয়ে কোন ধারনাই ছিলো না।

    হামিদ খান চাচা ব্যাসপুর মধ্যপাড়ায় বসবাস করেন। চাচার গল্পটা ছিল এরকম ১৯৭১ সাল যুদ্ধের পরবর্তী সময় দেশের অবস্থা ছিল খুবই ভয়াবহ সারাদেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল তখন চাচার বাবা তাদের ভাই-বোনগুলোকে নিয়ে খুব মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। হামিদ চাচার বাবা খেজুর গাছ তালগাছ কাটায় খুব পারদর্শী ছিলেন। চাচা তার বাবার সাথে সাথে থেকে নিজেও এ কাজগুলোতে পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন একটা সময় বাবার সাথে হামিদ চাচা ও এই কাজেই লেগে গেলেন। তখনকার সময়ে চাচার পরিবারের লোকজন ধানের চাউলের পরিবর্তে ঘাস ফল সিদ্ধ করে রান্না করে খেতেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে নৌকায় করে তাদের গ্রামে ছাতু বিতরণ করা হতো চাচা তাদের কাছ থেকে সেই ছাতু সংগ্রহ করে দিয়ে খেতেন। এই কথাটুকু বলার সময় কাকার চোখে পানি ধরে রাখতে পারেননি। অর্থাৎ কেঁদেই ফেললেন। এত কষ্টের পরেও সবার সাথে একত্রে বসবাস করে তাদের শৈশব কাল আনন্দের সাথেই কাটিয়ে উঠেছেন। লেখাপড়া শেখার মত সৌভাগ্য চাচার হয়নি খুব ছোটবেলা থেকেই বাবার সাথে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। এতসব চড়াই উতরাই অতিক্রম করে চাচা এখন বর্তমান অবস্থায় উপনীত হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্বিত। বাবার সাথে কাঁধে করে হাঁড়ি নিয়ে যাওয়া হাড়িতে চুন দেওয়া রোদে শুকানো গুড় বানানো বাজারে বিক্রি করা এ সকল যাবতীয় কাজ নিয়েই চাচার গর্ববোধ। কিন্তু বয়স হয়ে যাওয়ায় এখন আর তিনি এই কাজগুলো করেন না তাই অবসর সময়ে এই বিষয়গুলোই তার বারবার মনে পড়ে। এখন নাকি এগুলো তার জীবনে স্মৃতি হয়ে আছে। আমরা গল্প জানতে চাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে চাচা তার এই গল্পগুলো আমাদেরকে ধারাবাহিকভাবে বলতে লাগলেন আমাদের কোন প্রকার গল্প শেয়ার করা ছাড়াই। এবং আমাদের সাথে গল্প শেয়ার করার মুহূর্তে চাচাকে খুবই প্রফুল্ল চিত্তে অনুভব করলাম। কোন প্রকার দ্বিধা সংকোচ ছাড়াই চাচা আমাদের সাথে গল্প শেয়ার করেছেন। আমরা চাচাকে প্রসংসা করেছি। এবং চাচার মধ্যে যে সকল গুণাবলী লক্ষ্য করেছি সেগুলো হল কঠোর পরিশ্রমী, কষ্ট সহিষ্ণু, সেবা ব্রতী মনোভাব, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী, পরোপকারী, পিতৃভক্তি, মানব দরদী, দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি। চাচাকে আমরা প্রশংসা করায় চাচা অনুপ্রাণিত হয়েছেন যেটা আমরা চাচার মনোবল, কথা বলার ধরন ও গভীর আন্তরিকতার মাধ্যমে উপলব্ধি করতে পেরেছি। চাচার ৫০-৫৫ বছর বয়সে আমাদের মত এমন করে কারো সাথে কখনো চাচার কথা বলা হয়নি বলে চাচা প্রকাশ করেছেন এবং আমাদেরকে অনেক সম্মান করেছেন বিশেষ করে আমাদেরকে মা-বাবা বলে ডেকেছেন। তবে বর্তমানে সাংসারিক জীবনে খুবই সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করছেন বলেও জানিয়েছেন। গ্রামের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার বিষয় নিয়ে চাচা চিন্তিত। তার দৃষ্টিতে এখনকার ছেলেমেয়েরা বইয়ের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে বলে মনে হয়। আর এটার প্রধান কারণ হিসেবে তিনি মোবাইল ফোনকে দায়ী করেছেন। চাচার কথা মধ্যে রাস্তা দিয়ে যখন তিনি হাঁটাচলা করেন ছোট ছোট ছেলেদের হাতে তিনি মোবাইল ফোন দেখতে পান এবং তাদের সমবয়সী কয়েকজনকে একসাথে বসে মোবাইলে লুডু খেলতে দেখেন। তিনি তখন ছেলেদের কে অনেক ধরনের কথা বুঝিয়ে বলেন পরবর্তীতে চাচাকে দেখে সে সকল ছেলেরা দূরে পালিয়ে যান এবং চাচার আড়ালে গিয়ে আবার এই একই কাজই করে। চাচার কথা মতে এটা করা তাদের নেশায় পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন। আমাদের সাথে কথা বলে চাচা বলেছেন, আপনাদের ্সবার সহযোগিতায় যদি এলাকার ছেলেপেলেগুলো পড়ার দিকে ফিরে আসে তাহলে আমরা সত্যিই উপকৃত হব আমাদের গ্রামটা আদর্শ গ্রামে পরিণত হবে। আমাদের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে চাচা উক্ত সমস্যার সমাধানের জন্য গ্রামের অন্যদের সাথে মিলে এক হয়ে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেছেন। যেটা তিনি আগে কখনো করার কথা ভাবেননি। চাচার কাছ থেকে আমি বিশেষ করে পুরনো দিনের এই সুন্দর ঘটনাগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছি এবং নিজের চেষ্টা থাকলে যে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায় সে বিষয়ে শিখতে পেরেছি। উক্ত সল্ট কনভার্সেশনটি করতে গিয়ে আমরা তেমন কোন সমস্যার সম্মুখীন হইনি। প্রচন্ড গরম এবং রুদ্রউজ্জ্বল পরিবেশে মাঠ থেকে কাজ সেরে এসে আমাদের সাথে সুন্দর ভাবে কথা বলেছেন।

    This is my 2nd blog today. After writing here, I feel inspired to write more. It seems that my stories will be read by many people now. How many people in our village and different kinds of strength they have. Before doing salt I had no idea about it. Hamid Khan uncle lives in Byaspur Madhyapara. The uncle's story was like this, in the year 1971 after the war, the condition of the country was very terrible, there was a famine in the whole country, then the uncle's father was living a very inhumane life with his brothers and sisters. Hamid uncle's father was very skilled in cutting palm trees. Uncle along with his father became proficient in these works. At one time, Hamid uncle along with his father also got involved in this work. At that time, uncle's family used to cook and eat grass fruit instead of rice. On behalf of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, dry rice (chatu) were distributed to their villages by boat and uncle used to collect and eat it from them. Uncle couldn't hold back the tears while saying this. That is, he cried. Despite all the hardships, they spent their childhood happily living together with everyone. Uncle was not lucky enough to learn and had to manage the family with his father from a very young age. Uncle is proud of himself to have overcome so many ups and downs to reach the present position. Uncle's sense of pride in all these tasks of carrying pot on shoulder with father, drying jiggery in the sun and selling it in the market. But now he doesn't do these things because of his age, so he remembers these things again and again in his spare time. Now these are memories in his life. As we asked for stories, uncle immediately started telling us these stories. And we felt that uncle was in a very cheerful mood the moment he shared the story with us. Uncle shared the story with us without any hesitation. We praised uncle. And all the qualities that I have noticed in uncle are hardworking, service minded, self-employed, philanthropic, patriot, compassionate, responsible etc. Uncle is inspired by our appreciation of uncle which we can sense through uncle's spirit, manner of speaking and deep sincerity. Uncle revealed that he had never talked to anyone like us at the age of 50-55 and respected us a lot, especially calling us "ma and baba". However, he also said that he is living a very happy and peaceful life in his married life. Uncle is worried about the education of village children. In his view, today's children seem to be moving away from books. And he blamed mobile phones as the main reason for this. As he was walking through the road between uncles, he saw mobile phones in the hands of small boys and saw some of their peers sitting together and playing ludo on mobiles. He then explained many things to the boys. After seeing the uncle, all the boys ran away and went behind the uncle and did the same thing again. According to the uncle, doing it seems to have become their addiction. Talking to us, the uncle said, if the children of the area return to reading with the help of all of us, then we will really benefit and our village will become an ideal village. Inspired by our words, uncle hoped to work together with others in the village to solve the problem. Which he never thought of doing before. Especially from uncle, I got to know about these beautiful events of olden days and learned about self-employment that can be created by self-effort. We did not face any problem while doing the said salt conversion. He came back from the field in a very hot and sunny environment and spoke to us nicely.

Views: 79

Comment

You need to be a member of Community life competence to add comments!

Join Community life competence

Comment by Rituu B. Nanda on May 9, 2024 at 5:08pm

Am so glad Prokash and you were to stimulate Hamid Uncle to collaborate with others. How would you like to facilitate that?

Comment by Sadia Jafrin on May 9, 2024 at 12:35pm

I became inspired from your story Manira apa. 

© 2024   Created by Rituu B. Nanda.   Powered by

Badges  |  Report an Issue  |  Terms of Service