For the past few days, I had been thinking deeply about an issue, and I decided to share my thoughts with the GYRF team. “Sometimes, I visit our local railway station to spend some leisure time. It’s a beautiful station and very close to our area. During my visits, I’ve noticed something that concerns me. I often see some young boys and girls (mostly boys) picking up stones and throwing them at the windows of passing trains. They think of it as a game and enjoy doing it a lot. Sometimes, they even compete to see who can throw more stones. Watching this makes me feel really upset. For several days, I’ve been wondering how we can create awareness to bring an end to this dangerous behavior in society. I was also thinking whether I could connect this issue to our Masculinity sessions and help students understand how harmful and dangerous such actions can be.” After sharing this with the GYRF team, I received a lot of encouragement. We then had a deep discussion and reflection on how to link this issue with masculinity. As a result of that discussion, on Wednesday, 28th May, Monira Apa and I went to Joynagar High School to conduct a Masculinity SALT session with the boys. We began by greeting the boys and having some friendly conversations. Based on their interests, we organized a group SALT session. Monira Apa came along to provide logistical support. During the tiffin break, I sat down with boys from classes 6 and 8 to conduct the group SALT.
A total of 13 boys participated. The participants were: Shakib, Meherab, Rudra Das, Ridwan, Afif, Rudra Biswas, Hamim, Nazmun Shakib, Sajidul Islam, Nahid, Pallob, Shuvo Biswas (Class 6), and Shifat. First, I asked everyone to sit in a circle. Then I told them to pair up with the person on their right and share a story that made them feel proud of themselves. I gave them 15 to 20 minutes for storytelling. They listened to each other attentively and praised one another based on their stories. Then, I asked them some questions from the Masculinity Session, like: “As boys, what kind of privileges do you get from society?” The students responded that they get many advantages. “What kind of advantages?” One student said he could play in the field with his friends. Another said he could go anywhere with friends without anyone stopping him. “Do girls get these same privileges?” They all answered in unison — “No.” “Why not?” They explained that girls often lack security. Parents don’t want to let them go out alone. As a result, they mostly play in their yards and live in a more domestic environment. I then asked: “Where do you usually hang out?” They replied — at the market, in the field, and at the railway station. From this answer, I saw the perfect opportunity to bring up the issue of throwing stones at trains, so I asked them: “Do you go to the railway station?” They all answered together — “Yes, we go there often and really enjoy it.” “What do you do there?” They said — we have fun with friends, ride bicycles, try to run behind the trains, eat snacks like fuchka, chotpoti, jhal muri, peanuts, take pictures, etc. “Have you ever seen anyone throwing stones at the train?” They replied — “Yes, we’ve seen it, and sometimes we also throw stones with the younger kids when a train arrives. It makes a loud 'tonk' sound — it’s really fun!” Then I said: “Yes, it’s fun. Absolutely, it is. But tell me one thing— How would you feel if you couldn’t see with your eyes? Or couldn’t hear with your ears?” They responded, saying they wouldn’t like it at all. “If being blind or deaf would feel terrible to you, then think— how would someone feel if the stone you threw hit their eyes or ears?” The students fell silent. They began to understand what I was trying to say. I then asked: “Where do you throw the wrappers and trash from the food you buy?” They replied — “We throw it beside the stand or sometimes even on the railway tracks.” “What if someone slips on those and falls? What if they break their limbs or lose their eyesight? How would it feel if something like that happened to you?” Everyone went quiet again. Then Hamim said: “Honestly, we used to do these things just for fun, without knowing the consequences. Now we realize how big of a mistake it was. We won’t do it anymore. We’ll stop throwing stones at trains and also stop littering.” Shakib added: “From now on, if we see anyone throwing stones or trash, we’ll try to make them aware.” Moreover, through their own discussions, they decided to raise awareness among other students as well. They requested us to visit them from time to time to observe and support their activities. We assured them that we definitely would visit, see their work, and occasionally hold more Masculinity sessions with them. Then we said our goodbyes and left. In the end, I felt truly happy to be able to talk to the students about such an important issue. Now I’m thinking about how I can bring up this topic with girls as well, since they also visit the railway station and sometimes throw stones too. I hope this new generation will raise awareness among themselves and inspire others to become conscious individuals. As a result, people in our country will become more aware of their rights and responsibilities. One day, Bangladesh will be a role model for people all over the world
কয়েকদিন ধরে আমি একটি বিষয় নিয়ে ভাবছিলাম। এবং আমি আমার ভাবনা GYRF টিমে শেয়ার করলাম। “আমি মাঝে মাঝে সময় কাটাতে আমাদের এলাকার রেলস্টেশনে যাই। আমাদের এলাকার রেলস্টেশনটি অনেক সুন্দর এবং খুব কাছেই। আমি যখন যাই, একটা বিষয় আমি প্রায় লক্ষ্য করি। আমি দেখি, যখন ট্রেন আসে, তখন কিছু ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে (অধিকাংশই ছেলে) পাথর তুলে ট্রেনের জানালায় ছুঁড়ে মারে। তারা ভাবে এটা এক ধরনের খেলা। তারা খুব মজা পায় এটি করে । কখনো কখনো তারা একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে, কে কতগুলো পাথর ছুঁড়তে পারে। আমার এটা দেখে খুব খারাপ লাগে । কয়েকদিন ধরে ভাবছি এটি সচেতনতার মাধ্যমে সমাজ থেকে কিভাবে এর প্রতিকার বের করে আনা যায়। আমি এটা কে Masculinity সেশনের সঙ্গে যুক্ত করতে পারি কিনা, এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের বোঝাতে পারি কিনা এই কাজ কতটা বিপজ্জনক।” আমি আমার GYRF টিম এর সাথে এটি শেয়ার করার পর তাদের থেকে অনেক উৎসাহ পেলাম । এবং কীভাবে এটা masculinity এর সঙ্গে সংযুক্ত করা যায় সে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে গভীর আলোচনা ও পর্যালোচনা করলাম। এরই ফলশ্রুতিতে বুধবার, ২৮শে মে, আমি এবং মনিরা আপা জয়নগর হাই স্কুলে গিয়েছিলাম ছেলেদের নিয়ে masculinity SALT পরিচালনার জন্য। প্রথমে তাদের সাথে হাই হ্যালোর মাধ্যমে তাদের খোঁজ খবর নিলাম। পরে তাদের মতামতের আলোকে তাদের সাথে একটি গ্রুপ সল্টের আয়োজন করলাম। মনিরা আপা আমাকে লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে এসেছিলেন। টিফিন টাইমে, আমি ৬ষ্ঠ এবং ৮ম শ্রেণির ছেলেদের সঙ্গে বসেছিলাম গ্রুপ সল্ট করার জন্য। সল্টে মোট ১৩ জন ছেলে শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। অংশগ্রহণকারীদের নাম— শাকিব, মেহেরাব, রুদ্র দাস, রিদওয়ান, আফিফ, রুদ্র বিশ্বাস, হামিম, নাজমুন শাকিব, সাজিদুল ইসলাম, নাহিদ, পল্লব, শুভ বিশ্বাস (৬ষ্ঠ শ্রেণি), শিফাত। প্রথমে, আমি সবাইকে সার্কেলে বসতে বলেছিলাম । তারপর, ডানপাশের সাথীর সঙ্গে জুটি করতে বলেছিলাম এবং এমন একটি গল্প শেয়ার করতে বললাম যার জন্য তারা নিজেকে নিয়ে গর্ব বোধ করে। আর গল্প করার জন্য তাদেরকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় নির্ধারণ করা দেওয়া হয়। তারা খুব মনোযোগ সহকারে একে অপরের গল্প শুনে এবং গল্প অনুযায়ী তারা একে অপরের শক্তির জন্য প্রশংসা করে। এরপর আমি Masculinity Session থেকে শিখা কিছু প্রশ্ন তাদেরকে করি। যেমন- একজন ছেলে হিসেবে তোমরা সমাজ থেকে কি ধরনের সুযোগ সুবিধা পাও? শিক্ষার্থীরা উত্তর দেয়— তারা অনেক সুবিধা পায়। কি ধরনের সুবিধা পায়? একজন উত্তর দেয়, সে মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে পারে। আরেকজন বলে, সে বন্ধুদের সঙ্গে যেখানে খুশি যেতে পারে, কেউ বাধা দেয় না। এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা মেয়েরা পায় কিনা জানতে চাইলে? তারা স্বমসরে সবাই বলে - "না"। কেন পারে না জানতে চাইলে জবাবে তারা বলে, মেয়েদের নিরাপত্তার অভাব থাকে। অভিভাবকরা ও একা ছাড়তে চায়না। ফলশ্রুতিতে তারা বাড়ির আঙিনায় খেলাধুলা করে। এবং ঘরোয়া পরিবেশে জীবনযাপন করে। তারপর আমি জানতে চাইলাম- তোমরা কোথায় ঘুরতে যাও? তারা বলে— বাজার, মাঠে রেলস্টেশন ইত্যাদি। এই উত্তরের পরই আমি বুঝতে পারি কীভাবে আমি ট্রেনে পাথর ছোঁড়ার বিষয়টি সংযুক্ত করতে পারি তাই আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করি। তোমরা কি রেলস্টেশনে যাও? সবাই একসঙ্গে বলে— হ্যাঁ, প্রায়ই যাই এবং খুব উপভোগ করি। সেখানে গিয়ে কী করো? বন্ধুরা মিলে খুব মজা করি, সাইকেল চালাই, রেলের পিছে দৌড়াতে চেষ্টা করি। ফুচকা চটপটি ঝাল মুড়ি বাদাম কিনে খায়, ছবি তুলি ইত্যাদি। তোমরা কি কখনও দেখেছো কেউ ট্রেনে পাথর ছুঁড়ছে? তারা বলে, হ্যাঁ, দেখেছি এবং ছোটদের সঙ্গে আমরাও মাঝে মাঝে ট্রেনে আসতে দেখলে পাথর ছুড়ে মারি মারি টন করে শব্দ হয় এটা খুব মজা লাগে। আমি বললাম ঠিক আছে, এটা মজার। অবশ্যই মজার। কিন্তু একটা কথা বলো তো— যদি তুমি চোখে আলো দেখতে না পারো? যদি তুমি কান দিয়ে শব্দ শুনতে না পারো তাহলে তোমাদের কেমন লাগবে। তারা বলে, তারা চোখে দেখতে না পারলে, কানে শুনতে না পারলে তাদের ভালো লাগবেনা। তোমরা যদি অন্ধ বা বধির হলে তোমাদের ভালো না লাগে, তাহলে ভাবো তো তোমার ছুঁড়ে মারা পাথর কারো চোখে বা কানে লাগলে সে কী অনুভব করবে! শিক্ষার্থীরা চুপ হয়ে যায়। তারা বুঝতে পারে আমি কী বোঝাতে চেয়েছিলাম। তারপর আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম- তোমরা যে খাবারগুলো কিনে খাও তার ময়লা গুলো যেমন-পলিব্যাগ,কাগজের টুকরো এগুলো তোমরা কোথায় রাখো? উত্তরে তারা বলে -কেন স্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে আমরা ফেলি অনেক সময় রেলের লাইনের মধ্যে এগুলো রাখি। ধরো, এই খোসায় পা পিছলে কেউ পড়ে গেল, আর তার যদি হাত পা ভেঙে যায় বা অন্ধ হয়ে যায়? এটা যদি তোমার সঙ্গে ঘটে, কেমন লাগবে? সবাই চুপচাপ হয়ে যায়। তখন হামিম বলে “আসলে আমরা না জেনে মজা করতে এসব করতাম। এখন বুঝতে পারছি এটা কত বড় ভুল ছিল। আমরা আর এটা করব না। আমরা আর ট্রেনে পাথর ছুঁড়বো না, আর ময়লা-আবর্জনাও ফেলবো না।” শাকিব বলে: এখন থেকে যদি দেখি কাউকে পাথর ছুঁড়ছে বা ময়লা ফেলতে আমরা তাদের সচেতন করব। এছাড়াও তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই নিজেরা সিদ্ধান্ত নেয় তারা অন্য শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সচেতন করবে। তাদের কাজ দেখার জন্য ও সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য তাদের কাছে মাঝেমধ্যেই আমাদের যেতে বলেছেন। আমরাও তাদেরকে বলেছি অবশ্যই যাব তোমাদের সাথে দেখা হবে , তাদের কাজ দেখব এবং তাদের সাথে আমি মাঝে মাঝে Masculinity সেশন করবো। তারপর তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসি। অবশেষে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আমার খুব ভালো লেগেছে । এবং এখন আমি ভাবতেছি এই বিষয়ে কিভাবে মেয়েদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারি । কেননা তারাও রেল স্টেশনে ঘুরতে যায় অনেক সময় ঢিল ছুড়ে মারে। আমি আশা করি এই নতুন প্রজন্ম নিজেদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে অন্য কে ও সচেতন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। ফলে আমাদের দেশের মানুষ অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সজাগ হবে। সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে বাংলাদেশ একদিন রোল মডেল হবে।
Comment by Sadia Jafrin 12 hours ago
Comment by Manira khanam 13 hours ago
You need to be a member of Community life competence to add comments!
Join Community life competence