A library of Their Own :Dreams in Action.

[Manira khanam]

1. ৮ই মে ২০২৫ তারিখের জ্ঞানের মেলা পরবর্তী কাজে জয়নগর হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে একটা গ্রুপ সল্ট সেশনের আয়োজন করি। তারা যে স্বপ্ন দেখেছিলো (ড্রিম বিল্ডিং), সেই স্বপ্নের নির্ধারিত একটা বিষয়ের উপর আলোচনাটা হয়। স্বপ্নের একটি অংশ ছিল তাদের শ্রেণিকক্ষে লাইব্রেরী স্থাপন করা। কেননা তাদের বিদ্যালয়ে বড় একটা লাইব্রেরী থাকা সত্ত্বেও কেউ লাইব্রেরীতে গিয়ে পড়তে সুযোগ পায় না। কারন লাইব্রেরির জন্য আলাদা করে কোন রুম নেই। টিচার্স রুমেই শিক্ষার্থীদের গিয়ে বই সংগ্রহ করা লাগে। অনেকে ইতস্ততবোধ করে বই নিতে। এবং নিয়ম হলো, সপ্তাহে একদিন লাইব্রেরী থেকে বই নিয়ে বাসায় গিয়ে পড়তে হয় এবং আবার জমা দিতে হয় এতে করে অনেক শিক্ষার্থী বই পড়ার প্রতি আগ্রহী না। একক সল্টে অনেক শিক্ষার্থী এটাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেছিল এবং কিভাবে তার সমাধান করা যায় সেটাও তারা নিজেরা আলোচনা করে বের করেছিল। তারা আমাদের শেয়ার করেছিল যে, তারা চায় নিজেদের প্রচেষ্টায় নিজেদের শ্রেণীকক্ষেই একটা করে ছোট লাইব্রেরী স্থাপন করতে। নলেজ ফেয়ার অর্থাৎ জ্ঞানের মেলায় যে সকল শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছিল তারা লক্ষ্য করেছিল জ্ঞানের মেলা পরবর্তী সময়ে জুতা রাখার তাকগুলো তাদের স্বপ্ন পূরণে ব্যবহার করতে পারে। কারন এগুলো পড়েই থাকে। ৮ তারিখের গ্রুপ সল্টে তারা সেই সিদ্ধান্তেই উপনীত হয়। সপ্তম শ্রেণীর দুই শাখায় অর্থাৎ ছেলেদের শাখা এবং মেয়েদের শাখায় তারা নিজ উদ্যোগে লাইব্রেরী স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এবং আমাদেরকে ১৩ তারিখে তাদের প্রস্তুতকৃত লাইব্রেরী দেখার আমন্ত্রণ জানায়। সেখানে গিয়ে আমি এবং প্রকাশ ভাই খুবই বিস্মিত। কি সুন্দর ভাবে তারা লাইব্রেরীটাকে সাজিয়েছে! নিজেদের বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের গল্পের বই সংগ্রহ করেছে,বই পড়ার জন্য নিয়মাবলী লিখেছে, কেন তারা এটা করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে সেটা আলোচনা করেছে, এমনকি শুধু শিক্ষার্থীদের মধ্যে নয় এ বিষয়গুলো তারা শিক্ষকদের সাথে ও শেয়ার করেছে। এতে করে শিক্ষক রা ও তাদেরকে আরো বেশি উৎসাহত দিয়ে অনুপ্রাণিত করেছে। তাদের প্রস্তুতকৃত লাইব্রেরীর সুন্দর দুটি নামও দিয়েছে তারা। মেয়েদের টার নাম “গল্পগুচ্ছ” এবং ছেলেদের টার নাম “রং বেরঙের বই”। লাইব্রেরীর শুরুটা যদিও তাদের বইয়ের সংখ্যা সীমিত তবে তাদের মধ্যে রয়েছে বৃহৎ পরিকল্পনা। তাদের শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে প্রতি মাসে 10 টাকা করে চাঁদা দিয়ে মাসে ৫০০ টাকার মতো বই প্রতিমাসেই সংগ্রহ করার আশা ব্যক্ত করেছে। একটা সময় তাদের ছোট্টো লাইব্রেরী পুরো একটা বড় লাইব্রেরীতেই পরিণত হবে এমনই সংকল্প শিক্ষার্থীদের। দুই শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমি একটা প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবও লক্ষ্য করেছি সেটা হল এই ক্ষুদ্র প্রয়াস বা চেষ্টা থেকে তারা একটা বৃহৎ লক্ষ্য অর্জনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে ক্লাসের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন রিডিং পড়ায় দক্ষতা অর্জন করতে পারে এটা তাদের একটা এইম বা লক্ষ্য। বিশেষ করে টিফিন পিরিয়ড এবং গ্যাপ পিরিয়ডে তারা লাইব্রেরী থেকে বই নিয়ে শ্রেণীকক্ষে বসেই পড়বে এবং আবার নির্ধারিত স্থানে রাখবে। এতে করে নিজের কাছে থাকা বইটার পাশাপাশি অন্যের বই এর গল্পগুলো তারা জানতে পারবে এবং শিখতে পারবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এত বেশি স্বতঃস্ফূর্ততা দেখে আমিও নিজেকে তাদের সাথে জড়িয়ে নিয়েছি। আমি ও আমার পক্ষ থেকে তাদের লাইব্রেরীতে উপহার হিসেবে ৩ টি বই দিয়েছি। এতে করে শিক্ষার্থীরা অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছে। বাহারি রঙের বই দ্বারা তাদের লাইব্রেরীকে রাঙিয়ে তোলার পাশাপাশি নিজেদের জীবনকেও রাঙিয়ে তোলার এটা একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে তাদের। শিক্ষার্থীরা অনেক আশাবাদী এভাবে করে তাদের রিডিং স্কিলটা অনেক বেশি ভালো হবে। শিক্ষার্থীদের উৎফুল্লতা কর্ম তৎপরতা তাদের যেন নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়ক হয় এমনটাই আশা করছি। আমরা এখন ফ্যাসিলিলেড করার চেষ্টা করছি কিভাবে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা যায় এবং সপ্তম শ্রেণীর ন্যায় তাদের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে নিতে পারি। সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরীর উদ্বোধন ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছে উদাহরণ হিসেবে রাখতে চাই।

On May 8, 2025, following the Knowledge Fair, we organized a group SALT session with the seventh-grade boys and girls of Joynagar High School. The discussion focused on a specific theme from the dream-building session they had participated in earlier. One of the dreams they shared was to establish a classroom library. Although their school has a large library, students rarely get the opportunity to read there because the library doesn’t have a separate room. Instead, the books are kept in the teachers’ room, and students have to collect books from there. Many students feel hesitant to go and borrow books. According to the current rule, students are allowed to borrow a book only once a week to read at home and return it the next week. As a result, many students have lost interest in reading.
During the individual SALT sessions, many students identified this as a challenge and came up with their own ideas for a solution. They shared with us their desire to establish a small library within their own classroom, entirely through their own efforts. They observed that the shoe racks used during the Knowledge Fair were left unused afterward, and they could repurpose them to fulfill their dream. In the group SALT session on the 8th May, the students finalized this decision.
Students from both sections of the seventh grade—boys’ and girls’—decided to set up their own classroom libraries. They invited us to visit on the 13th to see what they had created. When we went, both Prakash Bhai and I were amazed. The way they had decorated the libraries was simply wonderful! They had brought different types of storybooks from home, written down library rules, discussed with other students why they felt inspired to do this, and even shared the initiative with their teachers. The teachers, in turn, encouraged and supported them further.
They also gave beautiful names to their respective libraries. The girls named theirs “Golpoguccho” (Story Collection) and the boys named theirs “Rong Beronger Boi” (Colorful Books). Although the number of books is currently limited, they have ambitious plans. The students in each class have agreed to contribute 10 taka per month so they can buy around 500 taka worth of books monthly. They are determined that their small library will one day grow into a large one.
I noticed a healthy sense of competition between the two sections. From this small initiative, they are moving toward a bigger goal. Their main aim is to help every student in the class develop strong reading skills. Especially during tiffin breaks and free periods, students plan to borrow books and read them in the classroom, then return them to the designated place. This system will allow them not only to enjoy their own books but also to explore stories from their peers' collections.
Seeing their enthusiasm and active participation, I became emotionally involved with them. As a small gesture from my side, I gifted them three books for their library. This made the students even more inspired. Through the addition of colorful books, they now have a chance not only to brighten their library but also their lives. The students are very hopeful that their reading skills will improve significantly through this effort.
We are now working to facilitate similar motivation among the sixth-grade students, aiming to guide them in fulfilling their dreams just like the seventh graders. We also plan to present the seventh-grade students' library initiative as a model for the sixth grade.

[Shahrukh Atpade]

This is a great initiative. This will help children develop a good reading habit.

[shristi joshi]

Incredibly inspiring to see how the students translated their dream into action! This perfectly embodies what the ARC process aims to achieve- locally driven solutions, especially when it's led by young people themselves.

[Rituu B. Nanda]

Grow Your Reader Foundation runs an initiative to establish libraries in different parts of Bangladesh. But now with a shift in their approach to more community-led approach in Village Byaspur, the students have gone on to set up their own library! Great facilitation and achievement by the GROW team. Congratulations!