Dream Building with the Mothers of Uttar Para.

[Manira khanam]

২রা জুন উত্তরপাড়াতে শাহানারার টিম এর সাথে আমাদের একটি ড্রিম বিল্ডিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়। কমিউনিটির মহিলা অভিভাবকদের সম্মতি ক্রমে পূর্ব পরিকল্পিত দিন নির্ধারণ অনুসারে আমাদের কার্যক্রমটি সংঘটিত হয়। বৃষ্টির কারণে আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম তাদের দেওয়া সময়ের যথাযথ মূল্যায়ন আমরা করতে পারব কিনা? তবে অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আমরা নির্ধারিত দিনে কমিউনিটিতে কার্যক্রমটি করতে সক্ষম হই। ড্রিম বিল্ডিং সেশনটি করার পূর্বে আমরা অর্গানাইজেশন লেভেলে নিজেদের মতো করে পরিকল্পনা করি এবং পরিকল্পনামাফিক কার্যক্রমটি পরিচালনা করতে নিজেদেরকে প্রস্তুত করি। প্রথমত প্রকাশ ভাই এবং আমি community থেকে দেওয়া নির্ধারিত সময়ে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হই। সেখানে পৌঁছানো মাত্র খুবই আনন্দপূর্ণ মনোভাব উপলব্ধি করি। কমিউনিটির সকলকে এক জায়গায় একত্রিত হতে দেখে। তারপর তাদের সাথে কুশলাদি বিনিময় করি। তার পরবর্তীতেই সুন্দর সাবলীল একটি গ্রুপ সল্ট সম্পন্ন করি। প্রথমদিকে আমি আমার ব্যক্তিগত গর্বিত হওয়ার একটা গল্প সবার উদ্দেশ্যে শেয়ার করি এবং সকলে মিলে আমাকে আমার গুন বা শক্তির প্রশংসা করে। ঠিক তেমনি ভাবে গোলাকার আকৃতিতে সকলকে বসিয়ে জোড়ায় জোড়ায় গল্প করার সুযোগ তৈরি করে দিই। সকলে খুব মনোযোগ সহকারে তাদের নিজেদের গর্বিত হওয়ার গল্প গুলো শেয়ার করছিল এবং একজন অন্যজনকে প্রশংসা করছিল যেই মুহূর্তটা ছিল খুবই মনমুগ্ধকর। কারন আমরা জানি সল্ট ভালো করে না হলে স্বপ্নগুলো ভালো হবে না। সঠিক সময়ের মধ্যে তারা তাদের কাজটি ভালভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছিল। এরপরে আমরা চলে আসি ড্রিম বিল্ডিং এ। যেহেতু আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ড্রিম বিল্ডিং সেশন করা। ড্রিম বিল্ডিং সেশনে অনুপ্রবেশের সূচনা করি ছোট্ট একটা প্রশ্ন দিয়ে যেটি ছিল “আপনারা আপনাদের সন্তানকে নিয়ে, কি স্বপ্ন দেখেন”? ব্যাস শুরু হয়ে গেল একেকজনের একেক ধরনের স্বপ্ন নিয়ে কথোপকথন। ঠিক তখনই কাগজ-কলম বের করে দিয়ে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললাম এভাবে যদি আপনারা স্বপ্ন বলেন তাহলে তো ভুলে যাব বা মনে থাকবে না। তাহলে কি করা যায়? উত্তরে তারা বল্ “তাহলে আমরা আমাদের স্বপ্নগুলো লিখে ফেলি”। বাহ! সেটা তো খুবই চমৎকার বিষয় হবে। তাহলে কে লিখবে এই স্বপ্নগুলো? শাহানারা আপার টিম নিজেরাই আলোচনা করে তাদের মধ্য থেকে একজনকে বেছে নিয়ে তাদের স্বপ্নগুলোকে কাগজে বন্দি করে নিলেন। রিপা ভাবিকে এই দায়িত্বটা তারা সকলে সম্মতিক্রমে অর্পণ করেছিল। তাদের স্বপ্ন গুলো ছিল :
১. সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে মানসম্মত শিক্ষা দেওয়া।
২.বাচ্চাদেরকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে তৈরি করা।
৩.লেখাপড়া করে মানুষের মত মানুষ হওয়া অর্থাৎ প্রাইমারি, মাধ্যমিক এবং কলেজের পড়ায় উত্তীর্ণ হওয়া।
৪.ছেলে মেয়েদের মোবাইল থেকে দূরে রাখা।
৫.ছেলে মেয়েদের ভালো শিক্ষা উপযোগী পরিবেশ দেওয়া।
৬.মাদক ধূমপান থেকে বিরত রাখতে ভূমিকা রাখা।
৭.ছেলে মেয়েদের বাজে অভ্যাস থেকে দূরে রাখা।

আমাদের কাজটা যেহেতু মহিলা অভিভাবকদের নিয়ে ছিল তাই সকলের সাথেই ছোট ছোট কোমলমতি শিশু বাচ্চা ছিল। তাই তাদেরকে আমরা অন্য একটি পাশে কাগজ কলম দিয়ে ব্যস্ত করে রেখেছিলাম নিজেদের মতো করে ছবি আঁকতে দিয়ে। এদিকে মায়েরা আলোচনা করে নিজেদের স্বপ্নগুলো লিপিবদ্ধ করছিল সুন্দর করে। এক পর্যায়ে স্বপ্ন লিপি বদ্ধকরা শেষে প্রকাশ ভাই এবং আমি নিজে মিলে তাদের তৈরি করা স্বপ্নগুলো পড়ে শোনাচ্ছিলাম। একটা পর্যায়ে কমিউনিটির থেকে রিপা ভাবি স্বপ্নগুলো উপস্থাপন করছিল। স্বপ্ন তৈরি করা এবং উপস্থাপনা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে তারা খুবই আনন্দিত হয়েছিল। তারা বেশ কিছু মাস আগে গ্রুপ সল্ট এর মাধ্যমে তাদের একটা বড় সমস্যা মোবাইল ফোনে আসক্তির সমস্যা থেকে বাচ্চাদেরকে বের করার জন্য নিজেরা উদ্যোগ নেয় বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করার। সুতরাং স্বপ্নের ৪ নাম্বার কাজটি ইতিমধ্যে তারা শুরু করে দিয়েছে। তবে সম্প্রতি নলেজ ফেয়ারে অংশগ্রহণ করে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা বাচ্চাদের পড়ানোর বিষয়ে খুব আগ্রহী হয়ে উঠেছে এবং পড়ানো কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। এর দরুন তাদের স্বপ্ন ১, ৩ এবং ৭ নাম্বারের কাজ তারা করছে। বিকালের সময়টুকু খেলাধুলা ও পড়াশোনা করে খুব সুন্দরভাবে অতিবাহিত হওয়ায় শিশুরা মোবাইল থেকে দূরে এবং অসৎ সঙ্গে মেশার প্রবণতা থেকে তারা সরে আসছে।

এছাড়াও এমন কিছু স্বপ্ন তারা লিখেছিল যেগুলো অন্য স্বপ্নের সাথে সম্পর্কিত ছিল তাই সেখান থেকে স্বপ্নগুলোকে একসাথে করে আলোচনা করি আমরা। এতে বিষয়টা তাদের বুঝতে খুব সহজ হয়। তাদের তৈরিকৃত প্রথম স্বপ্নটি ছিল বাচ্চাদের শিক্ষা সুনিশ্চিত করা। এখানে আমার মনে ছোট্ট একটি প্রশ্ন জাগে। আসলে কিভাবে তারা তাদের বাচ্চাদের শিক্ষা সুনিশ্চিত করতে চায়? উত্তরে তারা বলেন উদাহরণ দিয়ে বাচ্চাদের শিক্ষা সুনিশ্চিত করা মানে তারা স্কুলে যায় কিনা, ক্লাস টেস্ট সকল পরীক্ষায় অংশ নেয় কিনা, শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের পড়ালেখার অগ্রগতি হচ্ছে কিনা একজন মা হিসেবে এ সকল জিনিসগুলো মনোযোগ সহকারে খজখবর রাখা কারন এগুলোর ইতিবাচক উত্তর তাদের বাচ্চাদের পড়ালেখায় কতটা মনোযোগী সেটা বুঝতে সহায়ক। তাই নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে সন্তানদের প্রতি তারা এই ধরনের কার্যক্রম করার মাধ্যমে তাদের সন্তানের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে চায়। সুশিক্ষা নিশ্চিত হওয়া স্বপ্নের সাথে মানুষের মতো মানুষ হওয়াটাও অনেকটা সম্পর্কিত। এখানে একটি শিশু জন্মগ্রহণ করার পরপরই যে মানুষ হয়ে যায় এমনটা নয় সঠিক পরিবেশ যত্ন এবং শিক্ষাদানের মাধ্যমে প্রকৃত মানুষ রূপে গড়ে ওঠে। বিস্তারিতভাবে আলোচনা করায় তারা বুঝতে সক্ষম হয়েছে দুটি স্বপ্ন থেকে কিভাবে একটি স্বপ্নে উন্নীত করা যায়। শাহানারা আপার দলের তৈরি করা স্বপ্নের ইতিমধ্যে তারা করেকটি স্বপ্ন নিয়ে কাজ করা শুরু করে দিয়েছে যেটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছি। উল্লেখ্য যে তারা বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা এবং পড়ানো এই দুটি স্বপ্ন নিয়ে তাদের কাজ অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া তারা তাদের বাকি স্বপ্নগুলো আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে সকলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।

পরিশেষে আমরা আমাদের AER- After Experience Reflection সেশনটা করি।
ব্যক্তিগতভাবে আমার যে দিকটা ভালো গিয়েছে এবং কেন?
১.কমিউনিটির মানুষের সময় মত উপস্থিতি। যার দ্বারা আমরা আমাদের পুরো সেশনটা যথাযথ ভাবে করতে সক্ষম হয়েছি।
২.কমিউনিটির মানুষের অফুরন্ত ও ধৈর্যশীলতা এবং আন্তরিকতা। যেটা আমাদের দীর্ঘ সেশনটাকে ভালোভাবে শেষ করতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।

কমিউনিটির আপাদের যে বিষয়টা ভালো লেগেছে এবং কেন?
১। ১০ মিনিটের গল্প শেয়ারিং এবং গুনের প্রশংসা (কেননা আগে পরে আপাদের সাথে একক সল্ট হয়েছে আমার ও প্রকাশ ভাইয়ের সাথে, অনেকে নতুন যুক্ত হয়েছে, কিন্তু আজ তাদের সুযোগ হয়েছে প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করার তাই এখন তারা একে অন্যের শক্তি সম্পর্কে জেনে বেশি আনন্দিত এবং অনুপ্রাণিত হয়েছে।

যে জায়গাটিতে আরো ভালো হতে পারতো এবং কিভাবে?

যেহেতু বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের কমিউনিটিতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে তাই পরিবেশটা ছিল স্যাঁতসেতে। তাই অপেক্ষাকৃত উঁচু শক্ত জায়গাটা বেঁচে নিয়েছিলাম আমরা বসার জন্য। তাই আমাদের খুব কাছে কাছেই বাচ্চাদেরকেও বসানো হয়েছিল যদি রৌদ্রজ্জ্বল দিন হতো এবং পরিবেশ শুষ্ক থাকতো তাহলে বাচ্চাদেরকে একটু দূরে বসালে আমাদের স্বপ্ন তৈরির সময় কোন রকমের বিশৃঙ্খলা তৈরি হতো না। তাই পরবর্তীতে আমরাএই জায়গাটিতে আরো ভালো করতে পারি। পরিবেশের বিষয়টি আমরা পরিকল্পনায় রাখতে পারি।
মন্তব্য :এর আগে জয়নগর হাই স্কুল, রানা ও তানভীরদের টিম এবং হিজলি পাড়াতে আমাদের ড্রিম বিল্ডিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে সাদিয়া আপু, আদিলা আপু , প্রিয়া আপু ও সাদমান ভাইয়ের উপস্থিতিতে হয়েছিল। এই প্রথম আমি এবং প্রকাশ ভাই কমিউনিটিতে ড্রিম বিল্ডিং সেশন পরিচালনা করি। আশা করছি পরবর্তীতে আরো সুন্দরভাবে ড্রিম বিল্ডিং করতে সক্ষম হব।

On June 2nd, we conducted a Dream Building session in Uttarpara with Shahanara Apa’s team.
As per the pre-scheduled plan and with the consent of the women guardians in the community, the session was carried out. We were initially worried due to the ongoing rain and whether we’d be able to honor the time given by the community. Fortunately, by the grace of the Almighty, we were able to conduct the session on the scheduled day.
Before the Dream Building session, we made our internal organizational plans and prepared ourselves accordingly. Prokash Bhai and I arrived at the community at the designated time. As soon as we reached, we felt a sense of joy seeing everyone in the community gathered in one place. We exchanged greetings with them, and then smoothly carried out a group SALT activity.
To start, I shared a personal story about a moment I felt proud of, and everyone praised my strengths. Then, in a circular formation, we created an opportunity for everyone to share stories in pairs. Everyone attentively shared their own proud moments and appreciated each other’s strengths — it was a very heartwarming moment. We believe that without a proper SALT session, dreams cannot be nurtured well. The participants were able to complete the activity within the allotted time.
Then we moved on to the Dream Building session, which was our main goal. We began with a small question:
“What dreams do you have for your children?”
And just like that, a rich conversation began, with each person sharing different dreams.
At this point, we handed out paper and pens, explaining that if they only shared dreams verbally, they might forget them. So we asked, “What can we do about that?” They replied, “Then we will write our dreams down!”
That was a wonderful moment. When we asked who would write the dreams, Shahanara Apa’s team discussed among themselves and selected one person to document the dreams. With everyone’s agreement, this responsibility was given to Ripa Bhabi.
Their shared dreams were:
1. To ensure quality education so their children can become good citizens.
2. To raise their children to be good human beings.
3. To help their children complete their primary, secondary, and college education and become educated individuals.
4. To keep children away from mobile phones.
5. To provide a supportive environment for quality learning.
6. To prevent children from getting involved in drug use or smoking.
7. To protect children from developing bad habits.
Since our session was with women guardians, they had brought their small children along. We kept the children engaged separately by giving them paper and crayons to draw. Meanwhile, the mothers continued discussing and writing down their dreams beautifully.
After the dreams were written down, Prokash Bhai and I read them aloud. At one point, Ripa Bhabi presented the dreams on behalf of the group. Everyone was very happy to participate in this dream-sharing and presentation process.
Several months earlier, during a SALT session, they identified phone addiction among children as a major issue. Since then, they had taken initiatives to engage children in traditional games to reduce this problem — meaning they had already started working on Dream No. 4.
Recently, after participating in the Knowledge Fair, they were further inspired to help their children study and have started working on that. So currently, they are working on Dreams 1, 3, and 7. Spending the afternoon in play and study has helped keep the children away from mobile phones and negative influences.
There were also some dreams that overlapped with each other, so we discussed and grouped them together. This helped everyone understand the connections more easily.
For instance, the first dream — ensuring quality education — prompted a question in my mind: How exactly do they want to ensure education for their children?
In response, they explained with examples: ensuring education means checking whether the children are attending school regularly, participating in class tests and exams, and maintaining communication with teachers to track their academic progress. As mothers, they want to stay attentive to these aspects. Positive responses to these actions will help them understand how focused their children are on learning.
Ensuring quality education is closely related to raising children to be good human beings. A child doesn’t become a complete person just by being born — proper nurturing, a supportive environment, and good education help shape a person. Through detailed discussion, they understood how two dreams could be merged into one goal.
Shahanara Apa’s team has already started working on a few of these dreams, as we’ve been observing over time. They’ve consistently continued working on games and study sessions with children.
They also expressed a strong desire to collectively work toward fulfilling the rest of their dreams within the next five years.

Finally, we conducted our AER – After Experience Reflection session.
What went well for me personally and why:
1. The timely presence of community members allowed us to complete our session successfully.
2. The community members were extremely patient and cordial, which played a significant role in smoothly conducting the long session.
What the community participants liked and why:
1. The 10-minute story-sharing and praise session — although they had previously done one-on-one SALT sessions with Prokash Bhai and me, this time they had the opportunity to share with neighbors. They felt joyful and inspired to learn about each other’s strengths.
What could have gone better and how:
Due to several days of continuous rain, the environment was damp. We chose a higher, solid ground to sit on, which meant the children had to sit close to us. If it had been sunny and dry, we could have seated the children a bit farther away, reducing possible disruptions during the dream-making process. Going forward, we can improve this by factoring environmental conditions into our planning.

Note: Previously, Dream Building sessions have been held in Joynagar High School and with Rana and Tanvir’s team, and in Hijli Para with the presence of Sadia Apa, Adila Apa, Priya Apa, and Sadman Bhai. This was the first time Prokash Bhai and I facilitated a Dream Building session in a community on our own. We hope to conduct even better Dream Building sessions in the future.

[Shahrukh Atpade]

thank u for sharing