Connecting local responses around the world
Website: the-constellation.org
Newsletter English, French Spanish
Facebook https://www.facebook.com/pages/The-Constellation/457271687691239
Twitter @TheConstellati1
Instagram: https://www.instagram.com/constellationclcp/
১০/১২/২৪
ছেলেমেয়েরা মোবাইল ফোনে আসক্ত বলে দাদাদাদিরা ঠিক করেছিল তাদের নিয়ে নিয়মিত গল্পের আসরে বসাবে। তারা সেটা করে যাচ্ছে নিয়মিত। মাসে অন্তত ২/৩ দিন করে তারা চেষ্টা করে এটা করতে। কিন্তু ১০ই ডিসেম্বরের হিজলী পাড়াতে দাদা-দাদীদের গল্পের আসর বসেছিল একটু অন্যরকমভাবে একটু আনুষ্ঠানিকভাবে। আমরাও ছিলাম আমন্ত্রিত। গল্প উপভোগ করেছিল ছেলে মেয়েরা সাথে অনেক অভিভাবক এবং আমি ও প্রকাশ ভাই। শীতের পড়ন্ত বিকেলে তারা এই আসরের আয়োজন করে। অনেক বেশি আনন্দিত ছিল দাদা-দাদী এবং ছোট্ট ছেলে মেয়েরা। পাশাপাশি অধীর কৌতুহলী ছিল অভিভাবকেরা। কয়েক বাড়ি থেকে ৬ জন দাদি অংশগ্রহণ করেছিল উক্ত আসরে। এছাড়াও অংশগ্রহণ করেছিল কাজী জাফর চাচা অর্থাৎ একজন দাদা। পালাক্রমে তারা বিভিন্ন ধরনের গল্প বলছিল এবং বাচ্চারা মনোযোগ সহকারে গল্প উপভোগ করছিল। আমি নিজেও গল্পগুলো খুব মনোযোগ সহকারে উপভোগ করছিলাম। গল্পের ফাঁকে তারা পানের ডালা নিয়ে বসেছিল গল্পটাকে জমিয়ে তুলতে। একজন গল্প বলছিল, একজন পান বানিয়ে দিচ্ছিল, আফসানা ভাবী নিজে চা বানিয়ে সবাইকে পরিবেশন করছিল, এসব দেখে আমার অন্যরকম ভালো লাগা তৈরি হচ্ছিল। কেমন যেন মনে হচ্ছিল একটা উৎসবের আমেজ আমেজ তাদের ভেতরে। বাচ্চাগুলো চকলেট, বিস্কুট খাচ্ছিল আর গল্প শুনছিল। সুফিয়া আন্টি বাচ্চাদেরকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাস্তব চিত্রের গল্প তুলে ধরছিল। তহমিনা আন্টি সুয়োরানী আর দুয়োরানীর গল্প বলেছিল । খুব সুন্দরভাবে গল্পগুলো বাচ্চারা মনোযোগ সহকারে শুনছিল এবং আনন্দ উপভোগ করছিল মাঝেমধ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন করছিল দাদীদেরকে। জাফর চাচা নিজে গল্প শেয়ার করেনি তবে দাদিদেরকে গল্প শেয়ার করতে খুব অনুপ্রাণিত করছিল। এবং বাচ্চাদের সাথে সেও গল্পগুলো খুব উপভোগ করছিল এবং মাঝেমধ্যে হাততালি দিচ্ছিল। প্রকাশ ভাই আসরের বিভিন্ন চিত্র ধারণ করার কাজে ব্যস্ত ছিল। সবমিলিয়ে আমাদের দাদাদাদীদের গল্পের আসরটি খুব জমে উঠেছিল। আমরা চাই এই কাজটি প্রতিনিয়ত তাদের সাথে করতে। যাতে একটা সময় এটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। গল্পের আসরে জাফর চাচার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সুফিয়া চাচী ছবি তুলছিল যে বিষয়টি আমার খুব ভালো লেগেছে। এবং ছবি তোলার সময় চাচা, চাচির পাশে গিয়ে দাড়াচ্ছিল। যে জায়গাটিতে আরো ভালো করা যেতে পারত সেটি হল দাদাদের সংখ্যা যদি আরও বেশি হতো তাহলে গল্পের আসরটা আমার মনে হয় আরো বেশি জমে উঠতো। পরবর্তী আসরে দাদীরা চেষ্টা করবে দাদাদের সংখ্যা বাড়ানোর। গল্পে গল্পে সময় কখন যে ফুরিয়ে এসেছিল তা বুঝতেই পারিনি। সন্ধ্যা নেমে আসায় সাঙ্গ হল আমাদের গল্পের আসর। বিদায় নিয়ে চলে আসলাম আমরা আমাদের গন্তব্যে।
বৃদ্ধ মানুষেরা মনে করেন সমাজে তাদের দেয়ার কিছু নেই। কিন্তু এই খুব সাধারন কাজগুলোর মাধ্যমে আমরা শিশুদের বাজে অভ্যাসগুলো থেকে ফিরিয়ে আনতে পারি। ফিরিয়ে আনতে পারি সমাজের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য।
10/12/24
The grandparents had decided to regularly organize storytelling sessions for the children, as they were becoming addicted to mobile phones at Hijli Para, Byaspur, Gopalganj. They have been doing this consistently, trying to do it at least 2-3 days every month.
However, on 10th December, the storytelling session in the Hijli neighborhood was held in a slightly different and more formal way. We were also invited. The children, along with many parents, and myself and Prakash Bhai, enjoyed the stories. They organized this session on a chilly late afternoon. The grandparents and the little children were extremely happy, and the parents were also eagerly curious. Six grandmothers from several households participated in the session. Also, Kazi Jafar Chacha, a grandfather, participated. They took turns telling different kinds of stories, and the children listened attentively, enjoying the stories. I, too, was enjoying the stories with full attention. During the breaks, they had a betel leaf tray to make the storytelling even more lively. One was telling the story, while another was preparing the betel leaf, and Afsana Bhabi was making tea and serving everyone. Watching this, I felt a deep sense of joy. It felt like a festive atmosphere among them. The children were eating chocolates and biscuits while listening to the stories. Sufia Aunty was telling the children stories about the real events of the Bangladesh Liberation War of 1971. Tahmina Aunty shared the stories of Suwarani and Duyorani. The children listened attentively and enjoyed the stories, occasionally asking the grandmothers questions. Jafar Chacha didn't share any stories himself but was very encouraging, inspiring the grandmothers to share their stories. He was also enjoying the stories with the children and clapping occasionally. Prakash Bhai was busy capturing various moments of the session. Overall, our grandparents' storytelling session was very lively. We hope to continue this activity with them regularly so that it becomes a habit over time. I really liked the moment when Sofia Aunty asked for permission from Jafar Chacha to take pictures, and during the photo session, Chacha and Chachi were standing next to each other. One area where improvement could be made is if there were more grandfathers, the storytelling session could have been even livelier. In the next session, the grandmothers will try to increase the number of grandfathers. Time flew by during the storytelling, and before we knew it, the evening had arrived, signaling the end of our storytelling session. After bidding farewell, we left for our destinations.
Elderly people often think that they have nothing to offer to society. But through these simple activities, we can help children break bad habits and bring back the lost traditions of society.
Comment
Thank you for sharing Manira apa. I will join the next storytelling session.
© 2024 Created by Rituu B. Nanda. Powered by
You need to be a member of Community life competence to add comments!
Join Community life competence