Bringing Back Tradition: The Tiger Team’s Initiative in Pechakola | ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা – পেঁচাকোলায় টিম টাইগারের উদ্যোগ“

[Bayazid Bostami]

The group sessions involving the Tiger Team and local youth in Pechakola are part of an ongoing community-building initiative. These sessions are held regularly to provide a safe and open platform for young people where they can freely share their real-life experiences, opinions, and dreams.

Once upon a time, the villages of Bengal thrived with a rich variety of traditional games. Games like Kabadi, Gollachut, Kana Machhi, KitKit, Borof-Pani, and many others played a significant role in shaping the physical, mental, and social development of children and teenagers. These games were not only a source of fun but also important tools for communication, teamwork, leadership, and physical fitness.

However, with the advancement of technology and modern life, these traditional games are gradually vanishing. Today’s generation is so immersed in mobile games, YouTube, and online apps that they hardly know anything about outdoor games, their joy, or their benefits. This tech-heavy lifestyle is contributing to both physical and mental health issues among children—they are becoming weak, sedentary, and isolated.

In this context, the Tiger Team of Pechakola, a youth-led community group, is stepping up with a mission to bring positive change. They want to reconnect the younger generation with traditional games so that children can stay active, healthy, and emotionally well.

The members of the Tiger Team regularly sit with elders in the community to listen to their stories and experiences. These stories reveal a different world—one without internet, mobile phones, or TV—but filled with joy, connection, and physical activity. Elders recall how they grew up playing together, bonding through games, and becoming strong, social, and happy individuals.

These conversations have inspired the youth with new ideas. They realized that most children today have no concept of traditional games. What’s more concerning is that girls—who once actively participated in many games—are now being excluded due to safety issues, social bias, and narrow mindsets. Yet many girls have talent in sports like football or cricket. With the right opportunities and support, they too can represent the country one day.

 

Concerns Identified by the Youth:

The Tiger Team has identified several pressing issues:

• Children today don’t know how to play traditional games and need to be taught.
• Girls don’t get the chance to play; safety concerns and social norms are major barriers.
• Mobile phone addiction is harming children’s physical growth and well-being.

Actions Taken:

To address these challenges, the Tiger Team is taking several important steps:

• Introducing and regularly organizing traditional games for children.
• Ensuring safe playgrounds for girls where they can play freely.
• Taking responsibility for maintaining playfields to ensure equal access.
• Creating alternatives to screen time by encouraging outdoor activities.
• Engaging elders to help train children and pass on traditional knowledge.
• Spreading awareness in the community about the importance of girls’ right to play.

Expected Impact:

• Reduced phone dependency among children, and improved physical and emotional health through play.
• Girls will play in a safe environment, gaining confidence and leadership skills.
• Traditional heritage will be revived, and the new generation will stay connected to their cultural roots.
• A more inclusive and participatory community environment will emerge.

 

The Tiger Team in Pechakola is proving that with awareness, thoughtful planning, and a bit of goodwill, significant community transformation is possible. Their efforts to bring back traditional games are not just about fun—they are paving the way for a healthier, more united, and equality-based society.

ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা – পেঁচাকোলায় টিম টাইগারের উদ্যোগ“

গল্প কথনঃ

পেঁচাকোলা কমিউনিটিতে টিমটাইগার ও এলাকার তরুণদের নিয়ে আমাদের এই গ্রুপ সেশনগুলো একটি ধারাবাহিক উদ্যোগের অংশ। এই সেশন গুলো বারবার অনুষ্ঠিতহচ্ছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ ও উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা—যেখানে তারা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা, মতামত ও স্বপ্ন নিয়ে মুক্তভাবে আলোচনা করতে পারে।

 

এক সময় গ্রাম বাংলার প্রতিটি প্রান্তেছিল নানা রকমের ঐতিহ্যবাহী খেলার সমাহার।কাবাডি, গোল্লাছুট, কানামাছি, কিতকিত, বরফ-পানি— এমন অসংখ্য খেলাছিল যা শিশু-কিশোরদের শরীর,মন ও সমাজ বোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতো। এসব খেলাধুলাকে বল বিনোদনের উৎসই ছিলনা, বরং সামাজিক যোগাযোগ, দলবদ্ধতা, নেতৃত্ব এবং শরীরচর্চার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল।

কিন্তু প্রযুক্তি ও আধুনিক জীবনের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এইসব ঐতিহ্যবাহী খেলা হারিয়ে যেতে বসেছে। আজকের প্রজন্ম মোবাইল গেমস, ইউটিউব ও অনলাইন অ্যাপের জগতে এতটাই ডুবে আছে যে তারা বাস্তব মাঠের খেলা, তার মজা ও উপকারিতা সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানে না। এই প্রযুক্তি-নির্ভর জীবনের কারণে শিশু ও কিশোরদের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দিন দিন বাড়ছে— তারা দুর্বল, স্থূলকায় ও একাকী হয়ে পড়ছে।

এই প্রেক্ষাপটে পেঁচাকোলা কমিউনিটির টিম টাইগার— একটি তরুণ নেতৃত্বে গঠিত দল—তাদের কমিউনিটিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য একটি নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে। তারা চায় যেন বর্তমান প্রজন্ম আবার ও ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত হয়, সক্রিয় থাকে এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থভাবে বেড়ে ওঠে।

টিম টাইগারের সদস্যরা নিয়মিতভাবে এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গেবসে গল্প করেন, তাদের অভিজ্ঞতা শোনেন। এসব গল্পে উঠে আসে এক ভিন্ন জগত— যেখানে ইন্টারনেট, মোবাইল, টিভি ছিলনা, কিন্তু ছিল আনন্দ, সঙ্গবদ্ধতা এবং শরীরচর্চা। বড়রা বলেন, তারা ছোট বেলায় খেলাধুলা, মাঠের মজা আর দলগত জীবন দিয়ে বেড়ে উঠেছিলেন— যাতাদের শক্তিশালী, সামাজিক এবং সুখী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছিল।

এই গল্পগুলো তরুণদের মনে নতুন ভাবনা জাগায়। তারা উপলব্ধি করে, বর্তমান শিশুদের ঐতিহ্যবাহী খেলার কোন ধারণাই নেই। শুধুতাই নয়, মেয়েরা এক সময় যেসব খেলা খেলতে পারতো—আজ তা থেকে ও তারা বঞ্চিত। নিরাপত্তার অভাব, সামাজিক বিভাজন ও মানসিকতার সংকীর্ণতা মেয়েদের মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। অথচ অনেক মেয়েরই রয়েছে ফুটবল, ক্রিকেট বা অন্য খেলাধুলার প্রতিভা। সুযোগ পেলে তারা ও একদিন দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে।

 

তরুণদের উদ্বেগ ও করণীয়:

টিম টাইগার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চিহ্নিত করেছে:

• আজকের শিশুরা ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা জানে না, ফলে তাদের শেখাতে হবে।
• মেয়েরা খেলার সুযোগ পাচ্ছে না, নিরাপত্তাহীনতা ও সামাজিক দৃষ্টি ভঙ্গি বড় বাধা।
• মোবাইল আসক্তি শিশুদের শারীরিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে।

 

পদক্ষেপ সমূহ:

তারা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিচ্ছে কিছু গুরুত্ব পূর্ণ পদক্ষেপ:

• শিশুদের ঐতিহ্যবাহী খেলার সাথে পরিচিত করে তোলা ও নিয়মিত খেলার ব্যবস্থা করা।
• মেয়েদের জন্য নিরাপদ মাঠ নিশ্চিত করা, যাতে তারা নির্বিঘ্নে খেলতে পারে।
• মেয়েদেরকে হয়রানি করা, ইভটিজিং (রাস্তায় উত্যক্ত করা) এবং বুলিং বন্ধ করা।
• মাঠ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেওয়া, যেন সবাই সমান ভাবে খেলতে পারে।
• মোবাইল আসক্তি কমাতে মাঠে সময় কাটানোর বিকল্প সৃষ্টি।
• বড়দের সহযোগিতায় শিশুদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।
• সমাজে সচেতনতা তৈরি করে মেয়েদের খেলার অধিকারের পক্ষে কাজ করা।

 

প্রত্যাশিত পরিবর্তন:

• শিশুদের মধ্যে ফোন নির্ভর তাক মবে, তারা খেলাধুলার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক ভাবে বিকশিত হবে।
• মেয়েরা নিরাপদ পরিবেশে খেলতে পারবে, আত্মবিশ্বাস ও নেতৃত্ব গড়ে তুলবে।
• ইভটিজিং বা প্রকাশ্যে যৌন হয়রানি রোধ করা
• পুরনো ঐতিহ্য ফিরবে, নতুন প্রজন্ম শিকড়ের সঙ্গে যুক্তহবে।
• কমিউনিটিতে সমতা ও অংশগ্রহণ মূলক পরিবেশ তৈরিহবে।

পেঁচাকোলার টিম টাইগার প্রমাণ করছে— সচেতনতা, পরিকল্পনা ও একটু খানি সদিচ্ছা দিয়েই একটি কমিউনিটিতে বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব। ঐতিহ্যবাহী খেলা গুলোকে ফিরিয়ে আনার এই প্রচেষ্টা শুধু বিনোদনের নয়, বরং একটি স্বাস্থ্যকর, সম্মিলিত ও সমতা ভিত্তিক সমাজ গঠনের দিকেই এগিয়ে চলা।

[Bayazid Bostami]

Thanks for your appreciation!!!

[Nusrat Jahan Priya]

Very good initiatives Bayazid bhai. I would love to know how tiger team ensuring safe playground for girls and how they are ensuring equal access!

[Sadia Jafrin]

Very good initiatives and much needed at this time.

[Prokash Biswas]

আপনার লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো। আমাদের ব্যাসপুরের মানুষজনও একই ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছেন। খেলার মাঠের অভাবে, মায়েরা একত্রিত হয়ে বাড়ির আঙিনায় শিশুদের শৈশবের খেলা শেখাচ্ছেন, যাতে তারা মোবাইল ফোনে কম সময় কাটায়। দাদা-দাদিরা গল্প বলছেন, যাতে শিশুদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। মেয়েরা যেন নিরাপদে খেলতে পারে, সে জন্য ছেলেরা দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এসেছে।