Masculinity and social responsibility in the eyes of young people | তরুণের চোখে পুরুষত্ব এবং সামাজিক দায়িত্ব

[Bayazid Bostami]

Some conversations start slowly with my own feelings. This conversation with Tamim Hossain of the Pechakola community was like that. He fell silent as soon as the topic of masculinity came up. It wasn't easy to start. He wasn't very open about this topic at first. That's when I realized that this discussion takes time and trust. However, as trust gradually built, he started sharing his inner thoughts.

According to Tamim, being a man doesn't just mean being strong, but also carrying the burden of many responsibilities and expectations. As a man in society, he gets some advantages such as being important in speaking, having relative freedom in moving around, and the ability to make decisions. But at the same time, there are pressures and challenges. The expectations of family and society that one should always be strong, not cry, and handle problems on their own often make him mentally lonely.

In his words, family and society usually see men as earners, protectors, and decision-makers. This often leaves men's feelings, fears, or weaknesses invisible. As a result, they don't get the opportunity to express their troubles easily.

Talking about his childhood, Tamim said that his ideal man was his father. Because his father not only took responsibility for the family, but also respected everyone, spoke patiently and maintained morality even in difficult times. This humane approach of his father inspired Tamim to become a good person and a responsible man.

As a child, he learned to be a responsible man by watching his father, but he kept that sense of responsibility and feelings inside himself. He did not show it much from the outside, neither in words nor in behavior. At one point in the conversation, Tamim said that he used to think about his mother and sister before. He understood their pain, hard work and feelings, but he never expressed them in that way.

Tamim has started to understand that just remembering thoughts is not enough. Expressing feelings within the family, showing respect and standing by them is also part of being a responsible man. Now he wants to listen to his mother and sister more carefully and give importance to their opinions and decisions.

After this conversation, Tamim has started to think in a new way not only towards the family, but also towards the community.  He understands that a man's role in the community is not limited to just speaking or making decisions. Listening to others, respecting women's opinions, and creating a safe environment for children are also part of being a responsible man. Now he wants this change to gradually manifest in his own behavior in the community as well.

With that realization, he recently held a session with the youth of the community. In the session, Tamim shared his feelings and was able to express his inner thoughts in front of the youth. It was a new experience for him, which strengthened his change and became an example for others.

Bangli Part

তরুণের চোখে পুরুষত্ব এবং সামাজিক দায়িত্ব

নিজের অনুভূতি দিয়ে কিছু কিছু কথোপকথন ধীরে শুরু হয়। পেঁচাকোলা কমিউনিটির তামিম হোসেনের সাথে আমার এই কথোপকথনটাও তেমনই ছিল। মাসকুলিটি নিয়ে কথা উঠতেই সে একটু চুপ করে গেল। শুরুটা সহজ ছিল না। এই বিষয়টা নিয়ে সে প্রথমে খুব একটা মন খুলে কথা বলছিল না। তখনই বুঝেছিলাম, এই আলোচনাটা সময় আর আস্থার। তবে ধীরে ধীরে আস্থার জায়গা তৈরি হলে সে নিজের ভেতরের ভাবনাগুলো শেয়ার করতে শুরু করে।

তামিমের মতে, পুরুষ হওয়া মানে শুধু শক্তিশালী হওয়া নয়, বরং অনেক দায়িত্ব ও প্রত্যাশার বোঝা বহন করা। সমাজে পুরুষ হিসেবে সে কিছু সুবিধা পায় যেমন কথা বলার ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাওয়া, বাইরে চলাফেরায় তুলনামূলক স্বাধীনতা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। কিন্তু একই সঙ্গে আছে চাপ ও চ্যালেঞ্জ। পরিবার ও সমাজের প্রত্যাশা অনুযায়ী সবসময় শক্ত থাকতে হবে, কাঁদা যাবে না, সমস্যা নিজেই সামলাতে হবে এই ধারণাগুলো তাকে মানসিকভাবে অনেক সময় একা করে তোলে।

তার ভাষায়, পরিবার ও সমাজ সাধারণত পুরুষদেরকে উপার্জনকারী, রক্ষাকারী এবং সিদ্ধান্তদাতা হিসেবেই দেখে। এতে করে পুরুষদের অনুভূতি, ভয় বা দুর্বলতার জায়গাগুলো অনেক সময় অদৃশ্য থেকে যায়। ফলে নিজের কষ্টগুলো সহজে প্রকাশ করার সুযোগ তারা পায় না।

শৈশবের কথা বলতে গিয়ে তামিম জানায়, তার আদর্শ পুরুষ ছিলেন তার বাবা। কারণ তার বাবা শুধু পরিবারের দায়িত্বই নেননি, বরং সবাইকে সম্মান করেছেন, ধৈর্য ধরে কথা বলেছেন এবং কঠিন সময়েও নৈতিকতা ধরে রেখেছেন। বাবার এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিই তামিমকে অনুপ্রাণিত করেছে একজন ভালো মানুষ ও দায়িত্বশীল পুরুষ হতে।

ছোটবেলায় বাবাকে দেখে সে দায়িত্বশীল পুরুষ হওয়ার শিক্ষা পেয়েছিল, কিন্তু সেই দায়িত্ববোধ আর অনুভূতিগুলো নিজের ভেতরেই রেখে দিত। বাইরে থেকে খুব একটা দেখাত না, না কথায়, না আচরণে। কথার এক পর্যায়ে তামিম জানায়, সে আগেও তার মা ও বোনকে নিয়ে ভাবত। তাদের কষ্ট, পরিশ্রম আর অনুভূতিগুলো সে বুঝত, কিন্তু কখনো সেভাবে প্রকাশ করত না।

তামিম বুঝতে শুরু করেছে, ভাবনাগুলো শুধু মনে রাখলেই যথেষ্ট নয়। পরিবারের ভেতরে অনুভূতি প্রকাশ করা, সম্মান দেখানো আর পাশে দাঁড়ানোও দায়িত্বশীল পুরুষ হওয়ার অংশ। এখন সে চায় তার মা ও বোনের কথা আরও মন দিয়ে শুনতে এবং তাদের মতামত ও সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিতে।

এই কথোপকথনের পর তামিম শুধু পরিবার নয়, কমিউনিটির দিকেও নতুনভাবে ভাবতে শুরু করেছে। সে বুঝতে পারছে, কমিউনিটিতে একজন পুরুষের ভূমিকা শুধু কথা বলা বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। অন্যের কথা শোনা, নারীদের মতামতকে সম্মান করা এবং ছোটদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করাও একজন দায়িত্বশীল পুরুষ হওয়ার অংশ। এখন সে চায় কমিউনিটিতেও নিজের আচরণে এই পরিবর্তনটা ধীরে ধীরে প্রকাশ পাক।

সেই উপলব্ধি নিয়ে সে সম্প্রতি কমিউনিটির তরুনদের সাথে একটি সেশন করেছে। সেশনে তামিম তার অনুভূতি শেয়ার করেছে এবং তরুনদের সামনে নিজের ভেতরের ভাবনাগুলো প্রকাশ করতে পেরেছে। এটি তার জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা ছিল, যা তার পরিবর্তনকে আরও দৃঢ় করেছে এবং অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছে।