আমাদের ফ্যাসিলিটেটরদের গভীর অন্তর্দৃষ্টি | Our facilitators' profound insights

[Sadia Jafrin]

প্রতিদিনের মতো আজকেও সকালে আমরা সবাই কমিউনিটিতে সল্টের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য মিটিংয়ে বসেছিলাম। মিটিংয়ে আমি তেমন কিছু করি না, শুধু আমাদের ফ্যাসিলিটেটর মনিরা আপা এবং প্রকাশ ভাইয়ের অভিজ্ঞতার কথা মন দিয়ে শুনি। তাদের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করি।

আজকের মিটিংয়ে আমরা আমাদের নতুন ডকুমেন্টেশন অফিসার প্রিয়ার জন্য একটি দীর্ঘ আলোচনা করেছিলাম। আমাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল: সল্ট মানে আমরা কী বুঝি, এবং সল্টের মাধ্যমে আমাদের নিজেদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন এসেছে কি না—আর এলে তা কী কী?

আমি মনিরা আপা ও প্রকাশ ভাইকে প্রশ্ন করেছিলাম। আমি জানতাম মনিরা আপা কেমন ধরনের উত্তর দিতে পারেন, এবং তিনি ঠিক তেমনভাবেই উত্তর দিলেন। কিন্তু যেটা একেবারেই প্রত্যাশা করিনি, সেটি হলো প্রকাশ ভাইয়ের উত্তর। কী অসাধারণভাবে তিনি ব্যাখ্যা করলেন যে, "পরিবর্তন তো দুইভাবে হতে পারে—একটি হলো আমার ভেতর থেকে, আরেকটি হলো সেই ভেতরের পরিবর্তনের ফলে আমার চারপাশের পরিবর্তন।" উদাহরণস্বরূপ, ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমার পরিবারের সদস্যদের সাথে সম্পর্ক, বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক ইত্যাদি।

একটার পর একটা তার ভেতরের পরিবর্তনের কথা তিনি বলে গেলেন—মোট পাঁচটি। প্রতিটি পরিবর্তন এতটাই গভীর যে সেগুলো শুধু অনুধাবনের মাধ্যমে উপলব্ধি করা সম্ভব। অন্তরাত্মা দিয়ে তা বোঝা লাগে। আমি মুগ্ধ হয়ে শুনলাম তার কথা এবং বুঝলাম কারন আমিও প্রায় একইরকম অভিজ্ঞতা দিয়ে যাচ্ছি।

প্রকাশ ভাইয়ের উল্লেখ করা পাঁচটি পরিবর্তন হলোঃ

১। অন্যকে জানার এবং তার থেকে শেখার আগ্রহ বেড়েছে।
২। ফলে অন্যের কথা মন দিয়ে শোনার আগ্রহও বেড়েছে।
৩। তিনি আগের তুলনায় অনেক বেশি ধৈর্যশীল হয়েছেন, কারণ তিনি এখন অন্যের কথা শুনতে, বুঝতে এবং শিখতে চান।
৪। ব্যবহার অনেক নমনীয় হয়েছে, কারণ এখন তাকে সবার সাথে কথা বলতে হয়।
৫। অন্যদের প্রতি সম্মানবোধ বেড়েছে।

প্রকাশ ভাই যে এত সুন্দরভাবে গুছিয়ে কথা বলতে পারেন, সেটা আজ নতুন করে জানলাম। খুশিতে আমার মন নেচে উঠলো। গর্বে আমার বুক যেন আকাশ ছুঁতে চাইছে।

মনিরা আপা সবসময় খুব গুছিয়ে কথা বলেন এবং লেখেন—এটা ওনার একটি শক্তি। তবে ওনার যেই পরিবর্তনের সাথে আমি সবচেয়ে বেশি কানেক্ট করতে পারি, সেটা হলো: “যখন আমি জানি যে তর্কে জড়ালে অশান্তি বাড়বে, তখন আমি সেই তর্কে আর যাই না নিজের মানসিক শান্তির জন্য। তর্কে সবসময় জিততেই হবে—এমন কোনো কথা নেই।" এই ইমোশন কন্ট্রোল করা মনিরা আপা শিখেছেন সল্ট থেকে। আমি নিজেও শিখেছি।

আজকে আমার আনন্দে গান গাইতে ইচ্ছে করছে। চিৎকার করে পৃথিবীকে জানাতে মন চাইছে—সল্ট করে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমাদের ফ্যাসিলিটেটর মনিরা আপা ও প্রকাশ ভাইয়ের ভেতরের এই পরিবর্তন। কারণ আমি বিশ্বাস করি, সল্টের মাধ্যমে আগে নিজেকে বদলাতে হয়, নিজের সাথে সল্ট করতে হয়। নিজের শক্তি বুঝতে হয়, নিজের দৃষ্টিভঙ্গিতে কীভাবে পরিবর্তন আনা যায় তা উপলব্ধি করতে হয়। যদি আমি তা করতে পারি, তখনই না আমি অন্যের শক্তি বুঝতে পারবো এবং তা তাকে মন থেকে এপ্রিশিয়েট করতে পারবো।

মন থেকে এপ্রিশিয়েট না করলে, সেটা বোঝা যায়। হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের সংযোগ মুখস্থ কথা বলে হয় না। সল্টের জন্য দরকার সল্ট মাইন্ডসেট এবং দৃষ্টিভঙ্গি—যা সময়ের সাথে আসে, যদি আমি সত্যিই তা বুঝতে চাই।

 

Like every day, this morning too, we all gathered for a meeting to share our SALT experiences in the community. I don’t usually do much during the meetings—I simply listen wholeheartedly to the experiences shared by our facilitators, Monira Apa and Prokash Bhai. I try to learn from them.

In today’s meeting, we had a long discussion for our new documentation officer, Priya. The main focus of our discussion was: what we understand by SALT, and whether any transformation has occurred within us through the SALT approach—and if so, what kind of transformation.

I asked Monira Apa and Prokash Bhai to share their thoughts. I had a sense of what kind of answer Monira Apa might give, and she responded just as I had expected. But what completely surprised me was the response from Prokash Bhai. He explained so beautifully that change can occur in two ways: one is internal—within myself—and the other is external, resulting from that inner transformation. For example, changes in personal relationships with family members, friends, etc.

He shared one inner transformation after another—five in total. Each change was so deep that they can only be understood through self-reflection. One has to feel them with the soul. I listened to him in awe, and I could relate deeply—because I too have been experiencing something very similar.

The five changes Prokash Bhai mentioned are:

1. A growing interest in getting to know others and learning from them.
2. As a result, a greater desire to listen to others attentively.
3. He has become much more patient than before, as he now wants to listen, understand, and learn from others.
4. His behavior has become more flexible and kind, because he now needs to communicate with everyone.
5. His sense of respect toward others has increased.

Today, I discovered a new side of Prokash Bhai—how beautifully and thoughtfully he can articulate his experiences. My heart leapt with joy. My chest swelled with pride—it felt like it could touch the sky.

Monira Apa always speaks and writes in a very structured and beautiful way—that is one of her strengths. But the change in her that I personally connect with the most is this:
“When I realize that engaging in an argument will only bring unrest, I choose not to engage—for the sake of my inner peace. There’s no rule that says you must win every argument." This emotional control, Monira Apa has learned through SALT. And I have learned it too.

Today, my heart feels like singing with joy. I want to shout to the world that my greatest achievement through SALT is witnessing the inner transformation of our facilitators—Monira Apa and Prokash Bhai. Because I believe that through SALT, one must first work on changing oneself—one must do SALT with oneself. One must discover their own strengths and understand how to shift their perspective. Only then will I be able to recognize the strengths in others and appreciate them truly—from the heart.

If appreciation doesn’t come from the heart, it becomes obvious. A heart-to-heart connection doesn’t come from memorized words. SALT requires a SALT mindset and a perspective—a way of seeing—that only comes with time, if I truly want to understand it.

 

[Prokash Biswas]

আমাদের আলোচনাটা খুব ভালো  ছিল আমরা আমাদের নিজেদের থেকে অনেক কিছু শিখতে এবং জানতে পেরেছি।