Not Going to Teach, But Walking the Path to Learn শেখাতে নয়, শিখতে যাওয়ার পথে

[Md. Ashiqur Rahman]

আমরা ব্রেড টীম—পিয়া, রওশন আপা, বায়েজিদ ভাই আর আমি ২০২৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর, ভোর ৬ টায় মিরপুর থেকে রওনা হলাম Grow Your Reader Foundation-এর জ্ঞান মেলা (নবান্ন পর্ব) দেখতে।

গন্তব্য—উত্তরপাড়া, ব্যাসপুর, গোপালগঞ্জ; সাহানারা আপার বাড়ির উঠান।

 আমাদের একটাই মূলমন্ত্র— “বাইরে থেকে শেখাতে যাওয়া নয়—শেখার জন্য যাওয়া।” পথে আমাদের গাড়ি ঢাকা ধোলাইখালে গ্যাস নেওয়ার জন্য থামল। আমরাও নেমে পড়লাম।

হঠাৎ পিয়া আপার চিৎকার—একজন বৃদ্ধ রিকশাওয়ালা রাস্তার পাশে রিকশা বসিয়ে রেখেছেন। মাথা নিচু, বুকটা অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করছে। যেন বাতাস পাচ্ছেন না।

চোখেমুখে অসহায় আতঙ্ক।

 আমি কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম—

“ভাই, কী হয়েছে?” তিনি উত্তর দিতে পারলেন না, শুধু কষ্টে মাথা নাড়লেন। হঠাৎ মনে পড়ল—আমার ব্যাগে ইনহেলার আছে। নিজের শ্বাসকষ্টের জন্যই রাখা। এক মুহূর্ত দেরি না করে বের করে দিলাম। তাঁর হাত কাঁপছিল, আমি নিজেই ধরে দিলাম। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই যেন জীবন ফিরে এল। বুকের ওঠানামা স্বাভাবিক হলো। চোখের ভয়ের জায়গায় নেমে এলো একরাশ স্বস্তি। গভীর শ্বাস নিয়ে তিনি আমার দিকে তাকালেন— সে তাকানো ছিল কৃতজ্ঞতার, বেঁচে ফেরার।

গাড়ি আবার চলল। মাঝপথে নাস্তা সেরে জয়নগর বাজারে পৌঁছালাম। উত্তরপাড়া, ব্যাসপুর কীভাবে যাব—জিজ্ঞেস করতেই এক ৭–৮ বছরের শিশু বলল—

“আমার সাইকেল অনুসরণ করেন।”

আমরা অবাক হয়ে তার পেছন পেছন চললাম।

ছোট্ট সেই শিশুটি যেভাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিল— তা ছিল সত্যিই অভূতপূর্ব।

 কৃতজ্ঞতা জানাতে আমরা তাকে একটি ফুল দিলাম। সে হাসল—সে হাসির ভেতর ছিল পথ দেখানোর আনন্দ। ব্যাসপুরে পৌঁছে সাদিয়া আপা ও পুরো সম্প্রদায় আমাদের যে উষ্ণতা, হাসি আর ভালোবাসায় গ্রহণ করল— তা ভাষায় ধরা কঠিন।

 জ্ঞান মেলার আয়োজন দেখে হঠাৎ করেই মনে পড়ে গেল আমার মৃত মায়ের কথা। কলাপাতায় শীতের পিঠা, নারিকেলের নাড়ু— মনে হচ্ছিল মা যেন নিজ হাতে আমাকে খাইয়ে দিচ্ছেন।

পুরো আয়োজন ছিল প্রকৃতির সাজে, মাটির গন্ধে, মানুষের টানে। সেদিন বারবার মনে হচ্ছিল—

আমরা সত্যিই শেখাতে আসিনি,

আমরা একসাথে শিখছিলাম।

 কখন যে ফেরার সময় হয়ে গেল, টেরই পাইনি।

ফেরার পথে বারবার মনে পড়ছিল ওদের গল্প—

সংগ্রামের ভেতর দিয়ে গড়ে ওঠা জীবন, অজিত সাফল্যের ছোট ছোট কিন্তু দৃঢ় গল্পগুলো। এই যাত্রা আমাকে আবার মনে করিয়ে দিল— জ্ঞান মেলা মানে স্টল আর ব্যানার নয়, জ্ঞান মেলা মানে মানুষের সঙ্গে মানুষ হয়ে থাকা।

 

আর শেখা—

তা সব সময় বই থেকে নয়,

কখনো আসে ধোলাইখালের ভোরে,

কখনো আসে একটি শিশুর সাইকেলের পেছন ধরে চলার পথে।

 

Not Going to Teach, But Walking the Path to Learn

 

We were the BRED team—Pia, Rowshon Apa, Bayezid Bhai, and I.

On December 15, 2025, at 6:00 a.m., we set off from Mirpur to visit the Knowledge Fair (Nabanna Edition) organized by the GROW Your Reader Foundation.

Our destination was Sahhanara Apa’s courtyard in Uttarpara, Byaspur, Gopalganj.

 We had one guiding principle— “Not going from outside to teach, but going to learn.” On the way, our vehicle stopped at Dholaikhal in Dhaka to refill gas. We got down as well.

 Suddenly, Pia Apa shouted—an elderly rickshaw puller was sitting by the roadside with his rickshaw.

His head was bent down, his chest rising and falling unnaturally, as if he could not breathe. His eyes and face reflected helpless fear. I went closer and asked, “Brother, what happened?” He could not respond, only shook his head in pain.

Suddenly, I remembered—there was an inhaler in my bag, which I carry for my own breathing problem.

 Without wasting a moment, I took it out.

His hands were trembling, so I held it and helped him use it. Within seconds, it felt as if life returned to him. His breathing became normal. The fear in his eyes was replaced by deep relief.

 

Taking a long breath, he looked at me—

a look filled with gratitude, of having returned from the edge. The vehicle started again. After having breakfast midway, we reached Joynagar Bazar.

When we asked how to go to Uttarpara, Byaspur, a 7–8-year-old child said, “Follow my bicycle.” Amazed, we followed him. The way that little child confidently guided us to our destination was truly extraordinary. To express our gratitude, we gave him a flower. He smiled—and within that smile was the joy of showing the way.

 Upon reaching Byaspur, the warmth, smiles, and love with which Sadia Apa and the entire community welcomed us

are beyond words. Seeing the arrangements of the knowledge fair suddenly reminded me of my late mother.

Winter pithas on banana leaves, coconut laddus— it felt as if my mother herself was feeding me with her own hands. The entire event was adorned with nature, the scent of earth, and the pull of human connection.

 Again and again that day, I felt— we had not really come to teach; We were learning together. I did not even realize when it was time to return.

On the way back, their stories kept coming back to me— lives shaped through struggle, small yet steadfast stories of earned success.

 This journey reminded me once again—

a knowledge fair is not about stalls and banners; a knowledge fair is about being human with humans.

 And learning— it does not always come from books. Sometimes it comes at dawn in Dholaikhal, and sometimes while following behind a child’s bicycle.