Asif’s Story: A Journey of Responsibility, Dreams, and Community Vision || আছিফের গল্প: দায়িত্ব স্বপ্ন এবং সমাজ গঠনের যাত্রা

[Khadija Khatun]

1. 

The stroy

During a SALT conversation facilitated in Pechakola village, we had the opportunity to speak with a thoughtful and determined young man named Asif. His values, actions, and dreams make him a remarkable example of how youth can balance personal ambition with social responsibility. His story is one of dedication—to his family, to education, and to building a better community.

Asif is 17 years old and a college student living with his family in Pechakola village. Among five family members, he is the only son and carries many of his parents’ hopes. His parents dream that he will earn a scholarship and go on to pursue higher studies in Australia. Asif takes this dream very seriously. He studies diligently, listens to his parents, and tries his best to fulfill their expectations with deep respect and sincerity.

Asif describes his greatest source of pride as his commitment to fulfilling his parents’ dreams. He says, “I want to study well so I can make my parents proud and give them a better life.” For Asif, education is not just about securing a job—it is about honoring the sacrifices and love of his parents. He listens to their advice with care, treats them with the utmost respect, and constantly strives to be a source of joy for them.

But what makes Asif stand out even more is his concern for the wider community. His sense of responsibility doesn’t end at home—it extends to the village where he grew up and the people who shaped him.

Concern

Asif shares a growing concern about the social behavior of children in his village. He has noticed that many young children are no longer respecting elders or following discipline. He worries that if this trend continues, these children might grow up to be disruptive adults who contribute to disorder in the community.

“I want to see a peaceful, educated society,” Asif says. “But I feel afraid when I see children shouting at elders or ignoring them. We need to guide them before it's too late.”

This concern is deeply personal for him, as he believes that the future of a village lies in the values of its youngest members.

Actions Taken

Rather than simply worrying, Asif has taken action. From time to time, he gathers groups of children in his neighborhood and talks to them in a friendly, understanding way. He explains the importance of respecting elders, focusing on their studies, and behaving well in school and at home. He doesn’t scold them or lecture them—instead, he speaks with compassion and humility, trying to lead by example.

Asif believes that small efforts, repeated consistently, can lead to big changes. His approach is simple yet effective: listen, guide, and encourage.

Observation

Though still young, Asif’s actions are already making a difference. Some children have started to pay more attention to their behavior. Parents and elders have noticed his efforts and appreciate the leadership he is showing.

Asif’s initiative demonstrates that leadership is not about position or power—it is about taking responsibility and acting with purpose. His ability to observe a problem, reflect on it, and take meaningful steps shows emotional intelligence beyond his years.

Learnings

• Even small actions can bring big changes to a community if done with honesty.

• Children need good role models who talk to them and guide them, not just tell them what to do.

• Respecting family and community values helps build a better and kinder society.

Asif’s journey teaches us that youth are not just future leaders—they are capable of leading today. Through his love for his parents and concern for the community, Asif is showing how dreams and responsibilities can coexist. He reminds us that change does not need grand gestures; it begins with small, conscious steps—taken by someone who cares.

আছিফের গল্প: দায়িত্ব স্বপ্ন এবং সমাজ গঠনের যাত্রা

গল্পকথন:

SALT পদ্ধতির একটি আলোচনার সময় আমরা আছিফ নামের একতরুণের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাই। আছিফ একজন কলেজ পড়ুয়াশিক্ষার্থী, যারচিন্তা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি আজকের অনেক তরুণের জন্য অনুকরণীয় হতেপারে। এই গল্পে আমরা জানতে পারি কিভাবে সে নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার পাশাপাশি কমিউনিটির জন্য ইতিবাচক পরিবর্তনের স্বপ্নও দেখছে।

 

আছিফের বয়স ১৭ বছর। সে পেচাকোলা গ্রামের একজন ছাত্র। পরিবারের পাঁচজন সদস্যের মধ্যে সে একমাত্রছেলে, যার ওপর মা-বাবার অনেক প্রত্যাশা। তার বাবা-মা চায় সে পড়াশোনায় ভালো করে স্কলারশিপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করুক।আছিফ ও তার এইলক্ষ্য পূরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।সে পড়াশোনার প্রতিমনোযোগী এবং প্রতিদিনের জীবনে মা-বাবার কথা গুরুত্বের সাথে মেনে চলে। 

আছিফ SALT আলোচনার শুরুতেই তার জীবনের সবচেয়ে গর্বের মুহূর্ত হিসেবে বলেন যে, “আমি আমার বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করছি।”সে ছোট বেলা থেকেই পড়াশোনাকে গুরুত্ব দিয়েছে, এবং জানে যে তার সফলতাকে বল তার নিজের জন্যনয়, বরং পুরোপরিবারের জন্য।

তার মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে, বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সে কোনো পরিশ্রম করতে পিছ পা হয়না।সে বিশ্বাস করে—পরিবারের প্রতিদায়িত্ব ও ভালোবাসা একজন মানুষের চারিত্রিক দৃঢ়তার পরিচয়।

উদ্বেগ:

তবে আছিফের ভাবনার সীমা শুধু নিজের পড়াশোনায় নয়, সে কমিউনিটির বর্তমান অবস্থা নিয়েও উদ্বিগ্ন।আলোচনায় সে জানায়, “আমি দেখতে পাচ্ছি আমাদের গ্রামের অনেক শিশু এখন আর বড়দের সম্মান করেনা, তাদের কথা শোনেনা।এটা ভবিষ্যতের জন্য খুবই চিন্তার বিষয়।”

আছিফের মতে, এই প্রবণতা যদি রোধ না করা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে এরা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এবং একটি সুশৃঙ্খল কমিউনিটির পথ রোধ হতেপারে।

পদক্ষেপ:

এই উদ্বেগ থেকে আছিফ কিছু ছোট পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।সে মাঝে মাঝে ছোট ছোট ছেলেও মেয়েদের একত্র করে তাদের সঙ্গে বসে। গল্প করে,শিক্ষার গুরুত্ব বোঝায়, এবং শেখায় কিভাবে বড়দের সম্মান করতে হয়।

তারমতে, 

“আমরা যদি শিশুদের ছোটবেলা থেকেই। সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারি, তাহলে তারা ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল নাগরিক হবে।”সে শিশুদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে যাতে তারা সহজে তার কথা শুনে এবং অনুপ্রাণিত হয়।

পর্যবেক্ষণ:

আছিফের এই কাজ গুলো ছোট হলেও এর প্রভাব কম নয়।ইতিমধ্যেই তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে কিছু শিশুপড়াশোনায় মনোযোগী হয়েছে এবং অভিভাবকরাও সন্তুষ্ট। আছিফের আচরণ ও ভাবনা বোঝায়, সে নেতৃত্ব গুণে পরিপূর্ণ একজন তরুণ।তার এই ছোট ছোট পদক্ষেপ একদিন বড় ধরনের সামাজিক পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে।

শিক্ষাওবার্তা:

• ছোটদের মধ্যে মূল্যবোধ ও শৃঙ্খলা গড়ে তুলতে হলে পরিবার, সমাজ ও তরুণদের একত্রে কাজ করতে হবে।

• ব্যক্তি গত সাফল্যের পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ববোধ তৈরি করা ও একজন শিক্ষার্থীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

• তরুণদের শক্তিকে ইতিবাচক পথে ব্যবহার করলে কমিউনিটিতে টেকসই পরিবর্তন আনা সম্ভব।

আছিফের গল্প আমাদের শেখায়—যেখানে স্বপ্ন আছে, সেখানে দায়িত্ববোধ থাকা উচিত।একজনতরুণ ও সমাজ পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে, যদি তার মাঝে থাকে ইচ্ছাশক্তি, দায়িত্ববোধ এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা।তার এই নিঃশব্দ কিন্তু অর্থ বহযাত্রা আজকের সমাজের জন্য একটি শক্তিশালী

বার্তা—"পরিবর্তন আমি, তুমি, আমরা—সবাই মিলে সম্ভব।"