লায়লি খাতুনের সবজি বাগানের সাফল্যের গল্প__
পেচাকোলা কমিউনিটির সদস্য লায়লি খাতুন এখন সবার অনুপ্রেরণার এক দৃষ্টান্ত। একদিন আমাদের সল্ট কনভারসেশনে লায়লি তাঁর পরিবারের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি বিশেষভাবে সবজির অভাব ও পুষ্টির ঘাটতির কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন,
অনেক সময় বাজারে সবজির দাম এত বেড়ে যায় যে, আমাদের পক্ষে নিয়মিত সবজি কেনা সম্ভব হয় না। ফলে পরিবারের সদস্যরা পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত হয়।
এই কথায় আমরা সবাই ভাবলাম — লায়লি বাড়ির আঙিনায় তো বেশ খালি জায়গা আছে! সেখানে যদি তিনি সবজি চাষ শুরু করেন, তাহলে পরিবারের চাহিদা মিটবে এবং পুষ্টির ঘাটতিও কমবে।

এই প্রস্তাবে অনুপ্রাণিত হয়ে লায়লি আন্টি বলেন,
আমি কখনো ভাবিনি আমার নিজের আঙিনাতেই এত কিছু করা সম্ভব!
কিন্তু সল্ট কনভারসেশনে উৎসাহ ও প্রেরণায় তিনি সিদ্ধান্ত নেন নিজের বাড়ির পাশে ছোট্ট একটি সবজি বাগান তৈরি করবেন। কিছুদিন পর যখন আমরা আবার দেখতে যাই, দেখি লায়লি আন্টি ইতিমধ্যেই চাষ শুরু করেছেন।

তাঁর বাগানে রয়েছে — পুই শাক, করলা, লাউ
ও শিম গাছ।
এছাড়াও আরও নানা রকম মৌসুমি সবজি।এখন লায়লি আন্টি নিজে পরিবারের জন্য পুষ্টিকর সবজি সংগ্রহ করছেন, বাজার থেকে সবজি কিনতে হচ্ছে না। পরিবারের সদস্যদেরও পুষ্টির ঘাটতি মিটছে।

আরও আনন্দের বিষয় হলো, লায়লি খাতুনের স্বামীও এখন এই উদ্যোগে তাঁর পাশে আছেন। তিনি বলেন,

“আমরা চাই এই বাগানটিকে আরও বড় করবো। যাতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি সবজি বাজারে বিক্রি করে কিছু উপার্জনও করতে পারি।”
এক সময়ের পুষ্টি-অভাব আজ পরিণত হয়েছে আত্মনির্ভরতার গল্পে। লায়লি সবজি বাগান শুধু তাঁর পরিবারের খাদ্য চাহিদাই মেটাচ্ছে না, বরং পুরো কমিউনিটির জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।

লায়লি খাতুনের এই উদ্যোগ প্রমাণ করে — সামান্য উৎসাহ, কিছু সচেতনতা আর একটু পরিশ্রমই পারে একজন মানুষকে বদলে দিতে। নিজের আঙিনার ছোট্ট জায়গা থেকেও শুরু করা যায় বড় পরিবর্তনের গল্প।

Laili Khatun, a member of the Pechakola community, is now an example of inspiration for everyone. One day, in our Salt Conversation, Laili was talking about various issues in her family. At one point in the discussion, she specifically mentioned the shortage of vegetables and nutritional deficiencies.
She said,
"Sometimes the prices of vegetables in the market increase so much that it is not possible for us to buy vegetables regularly. As a result, family members are deprived of nutritious food."
At this, we all thought - Laili has a lot of empty space in her yard! If she starts cultivating vegetables there, the family's needs will be met and nutritional deficiencies will also be reduced.
Inspired by this proposal, Laili Aunty said,
"I never thought it was possible to do so much in my own yard!"
But with the encouragement and motivation in the Salt Conversation, she decided to create a small vegetable garden next to her house. When we went to visit again a few days later, we saw that Laili Aunty had already started cultivating.
Her garden has — pui shak, karla, gourd
and bean plants.
In addition, various other seasonal vegetables. Now Laili aunty is collecting nutritious vegetables for her family herself, instead of having to buy vegetables from the market. The nutritional deficiencies of her family members are also being met.
What is even more joyful is that Laili Khatun's husband is now also by her side in this initiative. He said,
"We want to make this garden bigger. So that we can meet the needs of the family and also earn some income by selling the excess vegetables in the market."
What was once a nutritional deficiency has now turned into a story of self-reliance. Laili's vegetable garden is not only meeting the food needs of her family, but has also become an inspiration for the entire community.
This initiative of Laili Khatun proves that a little enthusiasm, some awareness and a little hard work can change a person. The story of big change can start even from a small space in your own yard.